বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের আগেই পাকিস্তান দলে চোটের ধাক্কা

ছবি: সংগৃহীত

অবসর ভেঙে ফেরার পর পাকিস্তানের একাদশের অন্যতম একজন হয়ে উঠেছেন ইমাদ ওয়াসিম। এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রার শুরু থেকে অবশ্য পাচ্ছে না গত আসরের রানার্সআপরা। বাবর আজমের দলকে প্রথম ম্যাচ খেলতে হবে তাকে ছাড়াই। চোটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে ইমাদের না থাকা নিশ্চিত করেছে পিসিবি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার তিনি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বিবৃতি দিয়ে বুধবার জানিয়েছে তার না থাকার খবর। তারা বলেছে, 'পিসিবি মেডিকেল দল ইমাদ ওয়াসিমকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়ায় (আগামীকাল) বৃহস্পতিবারের ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইয়ে বিবেচনায় রাখা হবে না তাকে।'

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে চার ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও বাকি দুটিতে হেরেছিল তারা। ওই সিরিজের সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারেননি ইমাদ। ওভালে আয়োজিত ওই ম্যাচের আগেই মূলত তিনি পড়েছিলেন চোটে। নেটে ব্যাট করার সময় পাঁজরে চোট পেয়ে যান এই বাঁহাতি তারকা।

এরপর বিশ্রাম দিয়ে পাকিস্তান মাঠে নামায়নি তাকে ইংলিশদের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে। সেই চোট থেকে এখনও সেরে ওঠেননি তিনি। বিশ্বকাপ মিশনে প্রথম ম্যাচে না পেলেও সামনে থেকে তাকে পাওয়ার আশায় আছে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। এবারের আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই তারা খেলতে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দী ভারতের বিপক্ষে। আগামী ৯ জুন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় সেই ম্যাচের আগে ইমাদকে পাওয়ার আশায় আছেন অধিনায়ক বাবর।

ডালাসে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেছেন, 'ইমাদ ওয়াসিমের সাইড স্ট্রেইন (মাংসপেশির চোট) আছে। বেশ উন্নতি হয়েছে। আমাদের আলোচনা হয়েছে মেডিকেল প্যানেলের সঙ্গে। আমার ধারণা, পরের ম্যাচে (তাকে পাওয়া যাবে) না, কিন্তু এর পরের ম্যাচগুলোতে ইনশাআল্লাহ তাকে পাওয়া যাবে।'

২০২৩ সালের নভেম্বরে হুট করে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমাদ। এরপর চলতি বছর মার্চে আবার অবসর ভেঙে ফিরে আসেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। দুর্দান্ত পিএসএল শেষে জাতীয় দলেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু তাকে ছাড়াই আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান।

Comments

The Daily Star  | English

Inaction as policy, lawlessness as outcome

The country deserves better than a government that only condemns after the fact

2h ago