শ্রীলঙ্কা চাপে থাকবে কিনা ভাবছেন না শান্ত, চিন্তা নিজেদের নিয়ে 

ছবি: বিসিবি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাজেভাবে হারা লঙ্কানরা চাপে থাকবে কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার অধিনায়কের ভাবনা কেবল নিজেদেরকে নিয়ে।

আগামীকাল শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে 'ডি' গ্রুপের ম্যাচটি।

বাংলাদেশ মাঠে নামার অপেক্ষায় থাকলেও ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ নাজুক। গত সোমবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৭৭ রানে অলআউট হওয়ার পর ৬ উইকেটে হেরেছে তারা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা চাপে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, 'আমি জানি না। কিন্তু আমরা এটা ভাবছি না যে, ওরা কী ভাবছে বা তাদের মনে কী চলছে। আমরা আমাদেরকে নিয়ে চিন্তা করছি। আমাদের নিজেদের শক্তিমত্তা দিয়ে খেলতে হবে। হ্যাঁ, তারা ওই ম্যাচে ভালো করেনি। কিন্তু আমরা চিন্তা করছি না তারা কী ভাবছে।'

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থা বেহাল। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে তারা। এরপর অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছেও পাত্তা মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে জয়ের ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী জানতে চাইলে বাংলাদেশের অধিনায়ক দিয়েছেন কূটনৈতিক জবাব, 'অবশ্যই ম্যাচ চ্যালেঞ্জিং হবে, দুটি দলের জন্য অবশ্যই। কিন্তু ওইদিন যে দল ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। দুই দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। কিন্তু আমি একটু আগেও যেটা বললাম যে, খুব বেশি চিন্তা না করে যে পরিকল্পনাটা করেছি সেটা কীভাবে আমরা সম্পাদন করব এবং অনেক সামনের দিকে না তাকিয়ে ওই সময়ে থাকা, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই খুব ভালোমতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি আশা করি, সবাই খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা সফল করবে।'

প্রস্তুতি নিয়ে কোনো ঘাটতি দেখছেন না এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার, 'না, প্রস্তুতি দিক দিয়ে যদি বলতে চান, সবাই ভালোমতো প্রস্তুত। যতটুকু সুবিধা ছিল, ওটা আমরা পুরোটাই নেওয়ার চেষ্টা করেছি, ভালো-খারাপ থাকবে। কিন্তু এর ভেতর থেকে যতটুকু ভালো জিনিস নেওয়া যায়, অনুশীলন থেকে ওই জিনিসটা আমরা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, খুব ভালোভাবে খেলোয়াড়রা প্রস্তুত আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
DGFI involvement in enforced disappearances

2 years lost, life shattered

He was around 15 when he was picked up, a ninth grader.

9h ago