পরিবহন শ্রমিক নাঈম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাজেকে বিক্ষোভ

শোক সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি। ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আঞ্চলিক দলের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত পরিবহন শ্রমিক নাঈমের (৩৫) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাজেক গণ অধিকার রক্ষা কমিটি।

আজ সকাল ১১টার দিকে কমিটির পক্ষ থেকে কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজারে জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নাঈম (৩৫)। আহত হন চিক্কোমনি চাকমা (৩০) ও সোনামনি চাকমা (২৮)।

স্থানীয়দের ভাষ্য, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ঘিরে গত ৯জুন থেকে জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বাঘাইছড়ি বাজারে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। তারা স্থানীয়দের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন। বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে থাকা ওই দলটিকে গতকাল বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী চারদিক দিকে ঘিরে ফেলে। এ সময় গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে নাঈমসহ ৩ জন আহত হন। নাঈমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যায় সাজেকের উজো বাজারে অনুষ্ঠিত স্থানীয়দের একটি সমাবেশ থেকে গণ অধিকার রক্ষা কমিটি গঠনের ঘোষণা আসে। এর সদস্যসচিব হন সাজেক ইউনিয়ন কারবারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নতুন জয় চাকমা।

আজকের সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা বলেন, জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের নির্বিচার গুলিতেই মারা গেছেন নাঈম। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পাহাড়ি ও বাঙালি। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago