ভিয়েতনামে পুতিন, ইউক্রেন যুদ্ধ-অর্থনীতিসহ যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে

১৯৫০ সাল থেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে রাশিয়ার
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিন। ছবি: এএফপি
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিন। ছবি: এএফপি

বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া থেকে ভিয়েতনামে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট টো লামের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

পুতিনকে রাজধানী হ্যানয়ে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে দেশটির সামরিক বাহিনী ও প্রেসিডেন্ট টো লাম অভ্যর্থনা জানিয়েছে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিয়েতনামের সঙ্গে আলোচনার অন্যতম বিষয় হবে শিক্ষা, অর্থনীতি ও জ্বালানি। তবে দুই দেশের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গত মে মাসে পঞ্চমবারের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পুতিনের এটি দ্বিতীয় বিদেশ সফর। প্রথম তিনি চীন সফর করেন। এরপর উত্তর কোরিয়া ঘুরে ভিয়েতনামে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

বৃহস্পতিবার সকালে হ্যানয় পৌঁছেছেন পুতিন। সেখানে ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ট্র্যান হং হা'র সঙ্গে প্রথম বৈঠক হয় তার।

এরপর প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে পুতিনের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রেসিডেন্ট লামের সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন। এরপর ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নগুয়েন ফু ট্রংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই আলোচনায় কী উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে কূটনীতিকরা।

পাশাপাশি, কমিউনিস্ট পার্টির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন পুতিন।

১৯৫০ সাল থেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে রাশিয়ার। ভিয়েতনামকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে তারা। বস্তুত, জাতিসংঘে ইউক্রেন প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষেই মত দেয়নি ভিয়েতনাম। সমস্ত ভোটাভুটি থেকে তারা নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। পুতিনের সফরের পর ভিয়েতনামের অবস্থান কী হয়, সে দিকেও তাকিয়ে কূটনীতিকেরা।

 রয়টার্স, এপি, এএফপি

Comments