ছিটকে গেলেও যে প্রাপ্তি দেখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক

ছবি: এএফপি

ওবেড ম্যাককয়ের বল ছক্কায় উড়িয়ে উল্লাসে মাতলেন মার্কো ইয়ানসেন। তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ডাগআউটেও বয়ে গেল সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দের ঢেউ। কিন্তু নিশ্চুপ হয়ে পড়া স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের বাকি অংশে নামল বিষাদের কালো ছায়া। কারণ, সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিটকে পড়ল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে। তবে প্রাপ্তির খাতা একদম শূন্য মনে হচ্ছে না দলটির অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের।

অ্যান্টিগায় সোমবার বৃষ্টিবিঘ্নিত রোমাঞ্চকর ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে হেরেছে ক্যারিবিয়ানরা। অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হওয়া লড়াইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে আটকে যায় তারা। রান তাড়ায় নামা প্রোটিয়াদের ইনিংসের দুই ওভারের পর বৃষ্টি নেমে বন্ধ হয় খেলা। পরে ডিএলএস পদ্ধতিতে তাদের সামনে নির্ধারিত হয় ১৭ ওভারে ১২৩ রানের নতুন লক্ষ্য। উত্থান-পতনের নানা বাঁক পেরিয়ে তা দলটি ছুঁয়ে ফেলে ৫ বল বাকি থাকতে।

নিজেদের ম্যাচ চলাকালে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে এবং আসরজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে উইন্ডিজ। বিদায়ের পর ভক্তদের এমন উচ্ছ্বাসকে প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন রভম্যান, 'আমাদের দিক থেকে এটা একটা প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা ছিল। ছেলেরা বিশ্বাস করেছিল যে, তারা ১৩৫ রান ডিফেন্ড করতে পারবে। আমরা বিশ্বকাপ জিততে বা সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও গত ১২ মাসে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আবার আলোড়ন উঠেছে। এটাকে আমরা প্রাপ্তি হিসেবে নিচ্ছি। বিভিন্ন ভেন্যুতে আমরা যে সমর্থন পেয়েছি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে লাইক পেয়েছি, সত্যিই সেসবের প্রশংসা করতে হয়।'

ছোট সংগ্রহ নিয়ে বোলিংয়ে রোস্টন চেজ, আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ করেন দুর্দান্ত লড়াই। কিন্তু আগেই মূল ক্ষতিটা হয়ে গিয়েছিল ব্যাটিংয়ে। ৮৯ থেকে ৯৭ রানে পৌঁছাতে ৪ উইকেট খুইয়ে মহাবিপাকে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলার ইঙ্গিত দিলেও পারেননি রাসেল। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের চাপের মুখে ক্যারিবিয়ানদের পুঁজিটা তাই হয়নি পর্যাপ্ত। ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন চেজ। কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩৫ রান। আর কোনো ব্যাটার বিশের ঘর ছুঁতে পারেননি।

হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিংকেই দায় দেন ক্যারিবিয়ান দলনেতা রভম্যান, 'শেষ পর্যন্ত লড়াই করার জন্য ছেলেদের কৃতিত্ব দিতে হয়। তবে এমন একটা ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল যা আমরা ভুলে যেতে চাই। আমরা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো ব্যাটিং করিনি। আমরা গুচ্ছ গুচ্ছভাবে উইকেট হারিয়েছি। আর এমনটা সব সময়ই ব্যাটিং দলের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

1h ago