তিন উইকেট পড়তেই সেমির চিন্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানালেন শান্ত

Najmul Hossain Shanto
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুধু জিততেই চেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের লক্ষ্য তাদের ভাবনায় আসে প্রথম ইনিংসের পর। যদিও বেশিক্ষণ সে লক্ষ্যে খেলেনি নাজমুল হাসান শান্তদের মাথায়। সেটি স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়কও। তিনি জানিয়েছেন, তাদের সেমির স্বপ্ন পাল্টে যায় তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরই।

মঙ্গলবার সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানদের ১১৫ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। এরপর ১২.১ ওভারে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে পারলেই সেমির টিকিট পেয়ে যেতেন টাইগাররা। এমন সুযোগ নিয়ে দলের ভাবনা সংবাদ সম্মেলনে জানান শান্ত, 'আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথম ছয় ওভারে চেষ্টা করবো। যদি ভালো শুরু করি, শুরুতে উইকেট না পড়ে তাহলে আমরা ওই সুযোগটা নিবো (সেমিতে যাওয়ার)। কিন্তু যখন আমাদের দ্রুত তিন উইকেট পড়ে গেল, তখন আমাদের পরিকল্পনা ছিল কীভাবে ম্যাচটা জিততে পারি। তারপরেও আমি বলবো মিডল ওর্ডারের ব্যাটাররা ভালো সিদ্ধান্ত নেননি, যার কারণে আমার মনে হয় ম্যাচটা আমরা হেরে গিয়েছি।'

ম্যাচে নামার আগে থেকেই এমন সম্ভাবনার কথা জানা ছিল বাংলাদেশের। সেমিতে যেতে হলে যেরকম জয়ের দরকার ছিল, সেটির বদলে তাদের চিন্তাধারায় শুধু জয়টাই ছিল যদিও। শান্ত বলেন, 'প্রথমত আমরা ম্যাচটা জিততে চেয়েছি। শুরুর পরিকল্পনা সেটিই ছিল। প্রথম ইনিংস পরে যখন স্কোরবোর্ডে তাদের রান ১১৫ আমরা দেখলাম, আমাদের একটি পরিকল্পনা ছিল যে আমরা ১২.১ ওভারে জিততে পারি। কিন্তু যেমনটা বললাম, ব্যাটিং বিভাগ অনেক বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয়টাও পায়নি। ১০৫ রানে অলআউট হয়ে ডিএলএস পদ্ধতিতে হেরে গেছে ৮ রানে।

বাংলাদেশ দলে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটার হলেন তাওহিদ হৃদয়। দ্রুত লক্ষ্য তাড়া করতে তিনি হতে পারতেন প্রধান পছন্দের একজন। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যানজমেন্ট তাকে পাঠিয়েছে ছয় নাম্বারে। ডানহাতি হৃদয় যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন খেলা শেষ হয়ে গেছে ৬.৩ ওভার। তার আগে ব্যাটিং করতে পাঠানো হয় অফফর্মে থাকা তিন বাঁহাতিকে- শান্ত, সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার।

হৃদয়ের ব্যাটিং অর্ডারের এই পরিবর্তন নিয়ে অধিনায়ক শান্ত জানান, 'এটার কারণ হলো, ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় করার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ লিটন একপাশে ব্যাটিং করছিলো, ওদের বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য ছিল, তো এটার কারণেই। সবাই জানতো, সবাই পরিষ্কার ছিল (এ ব্যাপারে)।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

5h ago