পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিমকে হত্যায় তার সহকারী দোষী সাব্যস্ত

Fahim Saleh.jpg
ফাহিম সালেহ। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে (৩৩) হত্যায় তার সহকারী টাইরেস হাসপিল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ম্যানহাটান ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

টাইরেস হাসপিল (২৫) ২০২০ সালে ফাহিম সালেহকে হত্যা করে তার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে।

প্রসিকিউটররা জানান, ফাহিম সালেহর প্রায় চার লাখ ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন হসপিল। এটা লুকাতে ফাহিমকে হত্যা করেন তিনি।

সোমবার জুরিদের অন্যতম ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেন, হাসপিল দুঃখজনকভাবে ফাহিমের জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ফাহিম সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিবাসী পরিবারের এই সদস্য একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী ছিলেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফাহিম সালেহ রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। নাইজেরিয়ার রা গোকাদা প্ল্যাটফর্মের প্রধান নির্বাহী তিনি। নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই খুন হন ফাহিম। হত্যার পর তার দেহ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে টুকরা টুকরা করা হয়। এ কারণে হাসপিলকে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র তখন জানায়, ফাহিমের চার লাখ ডলার সরিয়ে ফেলেছিলেন হাসপিল। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ফাহিম ওই অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। হাসপিল ধাপে ধাপে অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আবার অর্থ চুরি করছিলেন। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নেওয়ার হুমকি দেন ফাহিম। এরপরই তিনি এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago