ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃত ১২, নিখোঁজ ১৮

সুলাওয়েসি দ্বীপের অবৈধ স্বর্ণখনিতে ভূমিধসের সৃষ্টি হলে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন। ছবি: এএফপি
সুলাওয়েসি দ্বীপের অবৈধ স্বর্ণখনিতে ভূমিধসের সৃষ্টি হলে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন। ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি অবৈধ স্বর্ণখনিতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের সৃষ্টি হলে অন্তত ১২ জন মারা যান। নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১৮ জন।

আজ সোমবার ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলোতে অনিবন্ধিত ও অবৈধ খনন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এসব জায়গায় স্থানীয়রা প্রায়ই উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া সোনা খুঁড়ে বের করার কাজে অংশ নেন।

শনিবার দিনের শেষভাগে গরনতালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। এর আগে বেশ কয়েক দফা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে স্থানীয়রা। আরও অনেকেই নিখোঁজ আছেন।

স্থানীয় উদ্ধার কর্মকর্তা হেরিয়ান্তো বলেন, 'আটজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকেই হালকা থেকে ভারি আঘাতের শিকার হয়েছেন।'

তিনি আরও জানান, তিন জনের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং আরও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

হেরিয়ান্তো (তিনি দ্বিতীয় কোনো নাম ব্যবহার করেন না) আরও জানান, এ এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এবড়োখেবড়ো ভূমির কারণে উদ্ধারকর্মীরা পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যসহ মোট ১৮০ জন উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন, যোগ করেন তিনি।

নভেম্বর থেকে এপ্রিলে বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে জুলাই মাসটি শুষ্ক মৌসুমের অন্তর্ভুক্ত এবং এই মাসে ভারি বৃষ্টিপাত খুবই বিরল।

মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভূমিধসে ১৫ জন মারা যান। সেসময় অনেক বাড়ি পানিতে ভেসে যায় এবং সড়কের ক্ষতি হয়।

এপ্রিলে একই প্রদেশে ভূমিধসে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

5h ago