টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নির্দিষ্ট সময় চান কামিন্স

সাদা পোশাকের লড়াই ও ফ্র্যাঞ্চাইজি অঙ্গনের খেলা একইসঙ্গে চলে প্রায়শই। কোথায় খেলতে চান, সেটি বেছে নেওয়া সহজ করতে প্যাট কামিন্স দিয়েছেন তার মতামত।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নাকি টেস্ট ক্রিকেট? বর্তমান সময়ে হরহামেশা প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয় ক্রিকেটারদের। সাদা পোশাকের লড়াই ও ফ্র্যাঞ্চাইজি অঙ্গনের খেলা একইসঙ্গে চলে প্রায়শই। কোথায় খেলতে চান, সেটি বেছে নেওয়া সহজ করতে প্যাট কামিন্স দিয়েছেন তার মতামত। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মতে, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত।

মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব সম্প্রতি আয়োজন করেছে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কানেক্টস নামের অনুষ্ঠান। বর্তমানে ক্রিকেটাঙ্গনে বড় আলোচনার বিষয় খেলাটির ভবিষ্যৎ গতিপথ, সেটি উঠে এসেছে লর্ডসের ওই বৈঠকে। সেখানে কামিন্স বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় আপনি জানেন যে, টেস্ট ক্রিকেট হয় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময়ে আমাদের টেস্ট খেলার পথে আর কোনো ধরনের ক্রিকেটই বাধা হতে পারে না। আইপিএলের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখা হয়। টেস্টের ক্ষেত্রেও সেটি করা যায়। এটা খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ করে দেবে।'

২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডের বৈশ্বিক আসরে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া কামিন্স আরও বলেন, 'ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট কিছু দেশের জন্য বেশি লাভজনক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়ও। আমি যদি ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতাম (নিয়মিত), তাহলে সম্ভবত আমাকে অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক অথবা এক-তৃতীয়াংশ সময়ের খেলা থেকে দূরে থাকতে হতো।'

চলমান মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) নাম লিখিয়েছেন গত আইপিএলে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে বিক্রি হওয়া কামিন্স। স্যান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নস দলের সঙ্গে তিনি চার বছরের চুক্তি করেছেন।

আইপিএলের সময়ে আবার কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই চান না জস বাটলার। টুর্নামেন্টটির সবশেষ আসরের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য রাজস্থান রয়্যালসকে ছেড়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার তখন বলেছিলেন, 'এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকা উচিত না যা আইপিএলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।'

ট্রেন্ট বোল্ট, আনরিক নরকিয়া, কেইন উইলিয়ামসন, জিমি নিশাম- বিগত সময়ে নিজ নিজ বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি ফিরিয়ে দেওয়া কিছু বড় নাম। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য দেশের ক্রিকেট ছাড়ার উদাহরণও রয়েছে অনেক। এছাড়া, এবছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টের সিরিজে মূল দলের কাউকে পাঠায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য প্রথম সারির ক্রিকেটারদের রেখে দিয়েছিল দেশটি।

Comments