ইউক্রেনকে আরও আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবে ন্যাটো

ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে ন্যাটোর অধিবেশন। সেখানে ইউক্রেনকে রাশিয়ার হামলা থেকে বাঁচতে আরও আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জবাবে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

৭৫ বছরে পা দিয়েছে সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো। এ আর সে সময়েই ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে ন্যাটোর সম্মেলন।

প্রথম দিন উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তার বক্তৃতায় একটিই উল্লেখযোগ্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেনকে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়া হবে। অতীতে এই সিস্টেম ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

বাইডেনের এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে একই সঙ্গে তার আবেদন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে এই সিস্টেম দ্রুত দিতে হবে। রাশিয়াকে ঠেকাতে আরো সাহায্য প্রয়োজন ইউক্রেনের।

একইসঙ্গে জেলেনস্কি আবেদন করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই যেন এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে একমত হওয়ার জন্য শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সঙ্গে জার্মানি, রোমানিয়া, ইতালি ও নেদারল্যান্ডসকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেছেন, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে রাশিয়ার নিরবচ্ছিন্ন ড্রোন হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

মার্কিন নির্বাচনের আগেই সহায়তা চান জেলেনস্কি

ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলানে বক্তব্য রাখছেন জেলেন্সকি। ছবি: রয়টার্স
ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলানে বক্তব্য রাখছেন জেলেন্সকি। ছবি: রয়টার্স

ওয়াশিংটনে এদিন জেলেনস্কি একটি বিষয়ে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেছেন, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন। তার আগেই যেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ নেয় পশ্চিমা দেশগুলো। নির্বাচন পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করা না হয়। এদিন জেলেনস্কি বলেন, '২০২২ সালের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তিনি ট্রাম্পকে খুব ভালোভাবে চেনেন না। তিনি ক্ষমতায় এলে কী হবে, তা তার কাছে স্পষ্ট নয়।'

বস্তুত, ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটদের একটি অংশও তার সমালোচনায় মুখর। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে বাইডেন কার্যত ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। তারপরই তার শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। বাইডেন এবং হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে, শারীরিকভাবে প্রেসিডেন্ট সম্পূর্ণ সুস্থ। দীর্ঘ সফরের কারণেই ডিবেটে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন তিনি।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাইডেন আদৌ প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন রিপাবলিকানরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন ন্যাটোর সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবং সেখানেও চলে এসেছে মার্কিন নির্বাচনের প্রসঙ্গ।

রয়টার্স, এপি, এএফপি

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

6h ago