আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিদেশে অধ্যয়নরত জাবির ১৫৩ সাবেক শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ

জাবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-পুলিশের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত, শিক্ষক ও ৪ সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ
হেলমেট পরে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জাবি) সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর 'ন্যাক্কারজনক হামলা'র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধ্যয়নরত জাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা।

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে অবস্থানরত জাবির ১৫৩ জন সাবেক শিক্ষার্থীর সই করা এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জাবিসহ সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় আমরা জাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা—যারা উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন পেশায় প্রবাসে অবস্থান করছি—মর্মাহত, লজ্জিত ও উদ্বিগ্ন। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন এবং পুলিশের ছত্রছায়ায় একদল সন্ত্রাসী যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা হয়ে থাকবে।'

'এই হামলায় নারী শিক্ষার্থীদেরও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের হামলায় এখন পর্যন্ত ছয় জন নিহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। একটি স্বাধীন দেশে এমন সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন কোনোভাবেই এই ঘৃণিত হামলার দায় এড়াতে পারে না।'

'আমরা আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অন্যান্যদের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব খরচে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ সকলের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।'

'পাশাপাশি এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, সেই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।'

বিবৃতিতে সই করেছেন—মো. শাহজাহান, দেওয়ান মুনতাসির রহমান, মো. রুহুল আমিন, মাহফুজা মারজান, ফাহিমা জাহান আছাল, মো. সুমন আলী, নাসরীন সুলতানা, সাজিদ কামাল, আবদুল্লাহ আল-আমিন,  মো. এরশাদ, মো. নুরুল হক, মুহাম্মদ রামিজ উদ্দিন, জাকিয়া মাহবুব, সৈয়দ মো. তায়াব, খন্দকার মো. নূর আলম, সাব্বির, মো. শামীমুর রহমান, মুমতারিন জান্নাত ঐশী, ইন্দ্রজিৎ বর্মণ, বাচ্চু শেখ, তাজরিন ইসলাম টনি, প্রাপ্তি আনন্দিতা, মামুন, মো. করিমুজ্জামান, সাকিল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম রাইন, প্রফুল্ল মণ্ডল, আশফিক রিজওয়ান, শাহিনুর রহমান, নিশাদ আদনান, ফেরদৌস রাবেয়া নাহার, আতাউর রহমান, সাব্বির আহমেদ, ফৌজিয়া আহমেদ, তাসনোভা রহমান নোভা, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. রায়হানুল ইসলাম, মো. মাহমুদুল ইসলাম, নিশাত তাসনিম, ফাবিহা, মারুফ মল্লিক, নাবিলা নুজহাত, সৌরভ দাশ, সাজ্জাদ কামাল শুভ্র, মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহ, মীর আলভি আহমেদ, আরাফাত রহমান, সাইকত ফকির, মো. নেওয়াজ শরীফ, মো. রবিউল আলম, কাজী রাইসা রাহমাতুল্লাহ, মো. খালেদ বিন ওলি ভূঁইয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস, নাভিদ আহমেদ সাদমান, সুব্রত পাল, রেজিয়া খাঁন, তাসনিম, আহমেদুর রহমান শোভন, রিফাত হাসান, আতিয়া ফেরদৌসী, তারান্নুম তাসনিম, মারজান সরকার, ফাহমিদা ইসলাম, নাফিসা লুবনা, মো. নুরুল হক, কাজী মুসা, মো. লিয়াকত হোসেন, তারেক হোসেন, সায়েমা খাতুন, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মো. মাহবুব আলম, সালেহ আহমেদ, শামীমা হক সুমা, ফারহানা ইয়াসমিন, হাফিজ, মো. তুহিনুর রহমান জয়, ইহসান সুয়েজ, রোকনুজ্জামান, শৌমিক কুণ্ডু, মো. আল আমিন, সুবর্ণা রায়, মো. মজাম্মেল হক ভূঁইয়া, মাসিয়াত মুবাসসেরা, মো. আসাদুজ্জামান খান, মো. নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, গাজী তারেক, নাহিদ, মাহমুদ হাসান, গাজী তারেক, অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সালিক, রুবাইয়া বিনতে রাজ্জাক, ফিহা, মো. আসাস উল্লাহ, এস এম আল মুইদ প্রান্ত, অর্পণ ভট্টাচার্য্য, লায়লা নূর, উম্মায় মাহফুজা শাপলা, মো. সাকিব হোসেন, তাবাসসুম তানহা, মো. ইয়াসিন গাজী, আমেনা খাতুন, জাকিয়া আক্তার, এ এইচ এম সফায়েত উল্লাহ প্রধান, মো. ইউসুফ আলী, মস্তুরা খাতুন রুমা, মিস্ট উম্মে লাইলা উর্মি, সাইফুর তুষার, এ এইচ এম শহীদ শামী, প্রীতম সাহা পোদ্দার, মো. সালমান শাকিল, তানজিল তুহিন, সানজিদা আক্তার, হুমায়রা হোসেন, তাহরিমা হোসেন, মো. হাবিবুল্লাহ, আয়েশা আরবি, মাহমুদুল করিম, মাহাবুব, মো. সাজ্জাদ হোসেন, তানজিলা সুলতানা, রেহনুমা তাসনিম, মুহাইমেনুল হক চৌধুরী, মিস্ট শান্তনা খাতুন, রিজওয়ানা আফরোজ, আবদুল এম খান, সৈয়দা তানজিলা আতিক, মো. শাহনাওয়াজ শরীফ, সৈয়দা সুমাইয়া হাবিব, মো. আলাউদ্দিন, মো. মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আসান উল হক, মো. জুয়েল মিয়া, সৈয়দা মাশনিয়া তাসনিম, মো. আবদুল হাই মল্লিক পারভেজ, আমিনা আক্তার, খায়রুল ইসলাম খাম, নাজমুজ সাকিব, ফিরোজ আহমেদ, লামিছা আক্তার, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদুল ইসলাম, মো. মাজহারুল ইসলাম, মুনিরা আক্তার, মীনা আফরোজ, কে এম মাঈন উদ্দিন, রাযওয়ানুল হক, সৌরভ বিশ্বাস, মাশুক সিদ্দিকী এবং মারিয়া কিবতিয়া সুমাইয়া।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago