কারফিউ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ছবি: তুহিন শুভ্র অধিকারী

সরকার কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে।

এক্সপ্রেসওয়ের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেসওয়ে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেড (এফডিইই) এ তথ্য জানিয়েছে।

এফডিইই জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় দুর্বৃত্তদের এক্সপ্রেসওয়ের দুটি টোল বুথ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এফডিইইর ব্যবস্থাপক (অপারেশনস এবং রক্ষণাবেক্ষণ) ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান দ্য ডেইলি স্টারকে আজ বুধবার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ১৮ জুলাই বনানী টোল বুথে এবং পরদিন মহাখালী টোল বুথে আগুন দেয়। ১৮ জুলাই থেকে এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম স্থগিত আছে।

'এক্সপ্রেসওয়েটি বিদেশি দেশের একটি কনসোর্টিয়াম দিয়ে পরিচালিত হয়। তাই কর্তৃপক্ষ কারফিউ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে', বলেন তিনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান বলেন, যে দুটি র‌্যাম্পে টোল প্লাজা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কারফিউ তুলে নেওয়ার পরও বন্ধ রাখা হবে।

তিনি জানান, তারা ম্যানুয়াল টোল আদায়ের মাধ্যমে বনানী র‌্যাম্প খোলার কথা বিবেচনা করছেন। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুটি টোল প্লাজা পুড়িয়ে দেওয়ায় কোম্পানির প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দর এলাকা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি আংশিকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এবং এফডিসি গেটটি চলতি বছরের শুরুতে খুলে দেওয়া হয়।

হাসিব বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন ফ্লাইওভারটি ব্যবহার করে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা টোল আদায় হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

10h ago