নিয়োগ বাণিজ্য: নিয়ম ভেঙে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে শ্রমিক নিয়োগ চেষ্টার অভিযোগ

শ্রমিক নিয়োগে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অনিয়ম

যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জিম্মি করে ঠিকাদার শ্রমিকদেরকে কোম্পানিতে অন্তর্ভুক্ত করার জোর প্রচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই শ্রমিকদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিতে জনপ্রতি আড়াই লাখ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সিবিএ নেতাসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, যমুনা অয়েল কোম্পানিতে দৈনিকভিত্তিতে কর্মরত ঠিকাদার শ্রমিকদের একটি অংশ সম্প্রতি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বেতন বাড়ানোর দাবি করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদেরকে কোম্পানিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

পরে শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) মাসুদুল ইসলামকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটি আজ রোববার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

তবে, চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে ঠিকাদার শ্রমিকদের কোম্পানিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে 'অবৈধ' দাবি করছেন যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।

তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ শেষের দিকে চলে আসায় কোম্পানির একটি পক্ষ চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধভাবে ৪০ জন শ্রমিককে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান মাসুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঠিকাদার শ্রমিকদের কোম্পানিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি ওঠায় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।'

এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'কোম্পানিতে শ্রমিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টির বৈধতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি এর বৈধতা পাওয়া যায়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অন্যথায় নয়।'

ঠিকাদার শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে যমুনা অয়েল কোম্পানির সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এয়াকুবের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সূত্র জানায়, তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago