যমুনা অয়েলের পার্বতীপুর ডিপোর সুপার ৪ দিন ধরে নিখোঁজ

অডিট বিভাগের নিরীক্ষা দল ১ জুলাই পার্বতীপুর ডিপোতে গিয়ে তাকে পায়নি।
আহসান বিন জামাল তমাল। ছবি: সংগৃহীত

যমুনা অয়েল কোম্পানির পার্বতীপুর ডিপোর সুপার (ডিএস) চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বুধবার যমুনা অয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে পার্বতীপুরের জিআরপি পুলিশ স্টেশনে এই জিডি করা হয়।

যমুনা অয়েলের নিখোঁজ ওই কর্মকর্তার নাম আহসান বিন জামাল তমাল। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়।

জানা গেছে, গত ২৯ জুন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার কর্মস্থল থেকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তমাল। ১ জুলাই তার কার্যালয়ে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তিনি যোগ দেননি।

যমুনা অয়েল কোম্পানির পার্বতীপুর ডিপোর কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সব ধরনের জ্বালানি তেলের মজুত ঠিক আছে কি না, তা দেখতে ১ জুলাই পার্বতীপুর ডিপোতে যান অডিট বিভাগের নিরীক্ষা দল। তখন নিরীক্ষা দলের কর্মকর্তারা ডিএস আহসান বিন জামাল তমালকে খুঁজে পাননি। পরে তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা অয়েল কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ডিএস আহসান বিন জামালকে খুঁজতে তার স্থায়ী ঠিকানায় যোগাযোগ করি। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই আমরা স্থানীয় থানায় জিডি করেছি।

অভিযোগ উঠেছে, পার্বতীপুর ডিপোতে এক লাখ লিটার ডিজেল কম পেয়েছেন অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারি ডেইলি স্টারকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ১ জুলাই বিপিসির অডিট কর্মকর্তারাও পার্বতীপুর ডিপোতে অডিট করেছেন। তারা কোনো অনিয়ম কিংবা জ্বালানি তেলের ঘাটতি পাননি। ওই ডিপোর সবকিছু ঠিক আছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে।

পার্বতীপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আজম জানান, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার যমুনা অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক ও ডিপোর ইনচার্জ আহসান বিন জামান তমাল নিখোঁজের ঘটনায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার যমুনা অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজালাল জিডি করেছেন। জিডি অনুযায়ী তমাল গত ১ জুলাই থেকে নিখোঁজ আছেন। তার সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।

Comments