খায়রুল-শিবলীর কমিশন শেয়ারবাজার ধ্বংস করেছে: ডিবিএ সভাপতি

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ড. এম খায়রুল হোসেন, ডিএসই, বিএসইসি,
ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আহসান হাবিব

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) অভিযোগ, অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অপেশাদার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গত ১৪ বছরে শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

সাইফুল ইসলাম বলেন, এই দুই অধ্যাপক ২০১১ সাল থেকে বিএসইসি পরিচালনা করলেও তাদের ১৪ বছরে শেয়ারবাজারে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বরং তারা মানুষের আস্থাকে তলানিতে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা কেবল স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই ব্যর্থ হয়নি, ইনসাইডার ট্রেডিং বা স্টক কারসাজিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এমনকি তারা ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

'এছাড়া তারা নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল,' বলেন তিনি।

গত ১৪ বছরে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানিই খারাপ পারফর্ম করেছে এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আপত্তি সত্ত্বেও এগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএসইসি ডিএসইকে হুমকি দিয়ে বলেছিল- প্রয়োজনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ২সিসি ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে ডিএসইকে বাধ্য করবে কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে।

২সিসি ধারাতে সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রককে বিশাল ক্ষমতা দিয়ে বলা হয়েছে, বিএসইসির আদেশ অন্য যেকোনো আদেশকে বাতিল করে দেবে।

'খায়রুল ও শিবলী কমিশনের অধীনে আইপিও অনুমোদনের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।'

একইভাবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা কোম্পানিও ডিএসইর এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য করেছে বিএসইসি। বিএসইসি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই এসব করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি প্রশ্ন করেন, 'কী কারণে বিএসইসি এটা করেছে?'

তিনি আরও বলেন, 'বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বাজার শেষ করে দিয়েছে। ফ্লোর প্রাইস আরোপ করায় অন্তত এক বছর ধরে প্রায় কোনো ক্রয়-বিক্রয় হয়নি।'

তিনি অভিযোগ করেন, বিএসইসির কর্মকর্তারা সরাসরি বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এতে বাজার ধ্বংস হয়েছে এবং মানুষের আস্থা নষ্ট হয়েছে।

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, পরিচালক ও কমিশনারদের অপসারণ করে বিএসইসি ও ডিএসইর সংস্কারের সুপারিশ করে ডিবিএ।

গত ১৪ বছরে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে জানান তিনি।

তার ভাষ্য, 'বিদেশে রোড শো করার নামে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ও পাচার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে আলাদা তদন্ত প্রয়োজন।'

এ বিষয়ে জানতে খায়রুল হোসেন ও শিবলী রুবাইয়াতকে ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
British Bangladeshi Labour Party lawmaker and  minister Tulip Siddiq

Tulip seeks meeting with Yunus over corruption allegations, The Guardian reports

Tulip, in a letter to the chief adviser, asked for a chance to discuss the ongoing controversy during his trip to London

24m ago