বিএসইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পে অনিয়ম

বিএসইসি
ছবি: সংগৃহীত

রেগুলেটরি ইনফরমেশন সিস্টেম (আরআইএস) প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যে প্রকল্পের খরচ ছিল প্রায় ২৮ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। তাকে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) থার্ড ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএমডিপি-থ্রি) আওতায় এ প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়।

এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি আর্থিক বিবরণী অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এটি পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারীদেরকেও অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে সক্ষম করবে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, প্রকল্প পরিচালক গত বছরের ২০ মার্চ বিএসইসির অফিস মেমোর মাধ্যমে সব বিভাগকে আরআইএস প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা জানান। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পটি শেষ হয় ২০২২ সালের জুনে।

কমিশনের এমআইএস বিভাগ বিএসইসির আরও কয়েকটি বিভাগকে আরআইএসের বিষয়ে মতামত দেওয়ার অনুরোধ জানায়। পরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় তৈরি করে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।

তারপরও প্রকল্প পরিচালক গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বিএসইসির অর্থ বিভাগে প্রকল্প শেষ হওয়ার প্রতিবেদন (পিসিআর) জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সই ছিল না।

আরআইএস ও সইহীন পিসিআর নিয়ে এমআইএস বিভাগ যে নেতিবাচক ফিডব্যাক পেয়েছে তা দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।

তাই সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে আরআইএস সফটওয়্যার পরীক্ষা করেছে দুদক। গত সোমবার দুদকের দল আরআইএস সফটওয়্যার সিস্টেম খতিয়ে দেখতে বিএসইসি পরিদর্শন করে।

বিএসইসির কর্মকর্তাদের জবানবন্দি ও সরেজমিন তদন্তে দেখা গেছে—মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প সমাপ্তির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলেও ২৮ কোটি টাকার কাজে সফটওয়্যারটি এখনো স্থাপন ও হস্তান্তর করা হয়নি।

সার্বিক বিবেচনায় উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম হয়েছে মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।

দুদকের দল শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে কথা বলতে প্রকল্পের পরিচালক ও বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি খুদে বার্তারও জবাব দেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

7h ago