ফেনীতে উদ্ধার কাজে অন্তরায় ‘সমন্বয়হীনতা’

উদ্ধার কাজের জন্য ফেনীতে যাওয়া একটি স্পিডবোট। স্বেচ্ছাসেবকরা কাজের জন্য প্রস্তুত। ছবি: আহমেদ ইশতিয়াক/স্টার

ভয়াবহ বন্যার কবলে থাকা ফেনীতে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরাও পৌঁছেছেন। তবে, সেখানে রয়েছে বড় রকমে সমন্বয়ের অভাব, যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ফেনী থেকে মেজর শুভম আফ্রিদি জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও 'সমন্বয়ের অভাবে' উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বেশকিছু জায়গায় এখনো উদ্ধার কাজের জন্য পৌঁছানো যায়নি, ত্রাণও পৌঁছেনি। আমরা যেখানে যেটা দরকার সেটা করার চেষ্টা করছি। যেখানে ত্রাণ দরকার সেখানে ত্রাণ দিচ্ছি, সেখান থেকে মানুষকে উদ্ধার করা দরকার সেখান থেকে উদ্ধার করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে সমন্বয়ের একটি বড় গ্যাপ তৈরি হয়েছে। ঢাকা বা দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে যারা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য এসেছেন তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। যারা বাইরে থেকে এসেছেন তারা একটা পরিকল্পনামাফিক কাজের চেষ্টা করছেন, আর স্থানীয়রা তাদের আপন মানুষদের জন্য কাজ করতে চাচ্ছেন।'

'এর ফলে যাদের সাহায্য পাওয়া জরুরি তারা পাচ্ছেন না। একটু আগে দেখলাম কে কোনদিকে যাবে, কোন টিমে কে থাকবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়ে গেছে। এর ফলে যারা আটকা পরে আছেন তারা ভুক্তভোগী হচ্ছেন,' বলেন তিনি।

মেজর শুভম বলেন, 'এখানে ছাত্ররা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করতে থাকায় জেলা প্রশাসন তাদের পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারছে না। এতে করে সঠিক সময়ে উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। কেউ মারা যাওয়ার পরে উদ্ধার করে তো লাভ নেই। এই বিশৃঙ্খল অবস্থার কারনে সকাল ৯টা পর্যন্ত একটা স্পিডবোটও ছেড়ে যেতে পারেনি।'

ঘটনাস্থল থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিক সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের প্রতিবেদক আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বিজিবি হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে। সেনাবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।

ফেনীতে এখন বৃষ্টি হচ্ছে না। বন্যার পানি দুই ফুটের মতো কমেছে, কিন্তু যেকোনো সময় আবার বেড়ে যেতে পারে।

গতকাল রাতে ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজে গিয়ে জ্বালানির অভাবে আটকা পড়ে আছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী। তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

15h ago