যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী হত্যায় হাসিনাসহ ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

বৃহস্পতিবার নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় এই মামলা করেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাত সাংবাদিকসহ ১৯৩ জনের নামে মামলা হয়েছে।

মামলায় ঘটনার দিন ওয়ারী জোনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮০-৯০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় এই মামলা করেন।

মামলার এজাহারে নাম থাকা সাংবাদিকরা হলেন, একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক-উপস্থাপক ফারজানা রুপা, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তা প্রধান মুন্নী সাহা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।

তাদের মধ্যে, শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা বর্তমানে চার দিনের রিমান্ডে আছেন। রাজধানীর উত্তরা এলাকায় পোশাকশ্রমিক ফজলুল করিম হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত বুধবার এই দুজনকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার দলের বহু নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মামলা দায়ের হচ্ছে। কোনো কোনো মামলায় নাম আসছে সাংবাদিকদেরও।

এ ধরনের মামলা বিগত সরকারের সময়েও দেখা গেছে। এখনো কেন এমন মামলা হচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন খুন হওয়া ছাত্রের অভিভাবককে তার বিচার-বিবেচনা মতো মামলা করা থেকে আমরা বিরত রাখতে পারি না। এরকম ঢালাও মামলা করা বিগত সরকার একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতিতে পরিণত করেছিল। হয়তো এর রেশ দেখছি আমরা এখন। তবে আমরা দেখব যথাযথ তদন্ত ছাড়া কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন।'

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

7h ago