গাজী টায়ারের আগুনে নিহত-নিখোঁজের তালিকা করা হয়নি: ফায়ার সার্ভিস

বিকেল ৩টার দিকে গাজী টায়ার কারখানার বাইরে স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজদের তথ্য নিয়ে তালিকা করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে নিহত ও নিখোঁজদের তালিকা করা হয়নি বলে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর জানিয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক দৃষ্টি আকর্ষণ বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, গাজী টায়ারের আগুনে ফায়ার সার্ভিস নিহতের তালিকা করছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যম তথ্য প্রকাশ করেছে। এটি সঠিক নয়। ফায়ার সার্ভিস নিহতের বা নিখোঁজের কোনো তালিকা করছে না। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের ফোন নম্বর ফায়ার সার্ভিসকে দিয়ে কোনো ভিকটিম পাওয়া গেলে তাদের জানানোর অনুরোধ করেছেন মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (ঢাকা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, 'ভিক্টিম লিস্ট তৈরির দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের। আগুন নির্বাপণ করাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব। ভিক্টিম লিস্টের দিকে আমাদের নজর নেই। আমরা সকাল পর্যন্ত ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। তাদের স্বজনদের নিকট পাঠিয়ে দিয়েছি।'

কারখানার প্রধান ফটকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তালিকা করছিলেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সে ব্যাপারে কোনো তথ্য আমার জানা নেই। কেউ তালিকা করে থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। কেননা আমিও কিছুটা সন্দেহের মধ্যে পড়ে গেছি যে (তালিকা করার) এ তথ্যটা আপনাদের কে দিল। আমরা তো কখনো কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো তালিকা করি না।'

তবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বিকেলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনায় অন্তত ১৭৪ জন নিখোঁজ আছেন। 

সেসময় তিনি বলেছিলেন, 'স্বজনরা যারা দাবি করছেন যে তাদের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছেন, যারা গতরাতে লুটপাটের সময় এই কারখানায় এসেছিলেন। আমরা তাদের একটি খসড়া তালিকা করেছি। এ মুহূর্তে তা যাচাই-বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। স্বজনরা যারা দাবি করছেন তাদের নাম, ঠিকানা লিখে রাখছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

29m ago