আইসিজির প্রতিবেদন

আরাকান আর্মির নেতৃত্বে ‘স্বাধীনতার’ পথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তাকে পরাজিত করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি।

আজ মঙ্গলবার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন মতে, এই সংগঠনের নেতৃত্বে খুব শিগগির আরাকান রাজ্য সার্বভৌমত্ব অর্জন করতে পারে।

এ বছরের প্রায় পুরো সময়জুড়ে বিদ্রোহীগোষ্ঠীর নিরবচ্ছিন্ন হামলার মুখে পাল্টা জবাব দিতে হিমশিম খেয়েছে সামরিক সরকার (জান্তা)। নিরুপায় হয়ে এক পর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।

প্রতিবেদন মতে, আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করলে একটি উদীয়মান আধা-রাষ্ট্র (পুরোপুরি সার্বভৌম নয় এমন) সৃষ্টি হবে এবং এ রাজ্যের বাসিন্দারা মানবিক সংকটে পড়বে। 

দীর্ঘ সংঘাতের ফলে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অবরোধের কারণে বেসামরিক মানুষের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাচ্ছে না।

এতদিন সরকারের সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত বিদেশি সংস্থা ও রাষ্ট্র আরাকান আর্মির সঙ্গে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে কী না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে ক্রাইসিস গ্রুপের মত, আরাকান আর্মির উচিত উস্কানিমূলক বক্তব্য এড়ানো, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, নিপীড়নের অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত প্রক্রিয়ায় সমর্থন জানানো এবং রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা।

পাশাপাশি, ঝুঁকি ও আইনি সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশেরও উচিত সীমান্ত এলাকা স্থিতিশীল করতে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। আর দাতাদের উচিত রাখাইন রাজ্যজুড়ে মানবিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের উপায় খুঁজে বের করা।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

36m ago