সাবেক ভূমিমন্ত্রী মুক্ত ইউসিবি, আরও ২ ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণ হারালো এস আলম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার পরিবারের দখল থেকে মুক্ত করা হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে।

বিলুপ্ত এই ১৮ সদস্যের বোর্ডে আধিপত্য বিস্তার করে ছিল সাইফুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা। বোর্ডে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সাইফুজ্জামানের বোন রোকসানা জামান চৌধুরী, আত্মীয় আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরী।

সাইফুজ্জামানের স্ত্রী রুখমিলা জামান গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্যাংকিংখাতের অভ্যন্তরীণরা জানান, ব্যাংকটির বোর্ডে সাইফুজ্জামানের পরিবারের একটি অংশকে টিকিয়ে রাখতে সম্প্রতিই পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউসিবির বোর্ড ভেঙে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে একই কারণে বেসরকারি ব্যাংকটি নিজেরাই তাদের বোর্ড পুনর্গঠন করেছে।

অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে সাইফুজ্জামান ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমকে প্রভাবিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউসিবির দুই শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেছে।

ন্যাশনাল ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান শরীফ জহিরকে শেয়ারহোল্ডার পরিচালক করা হয়। জহির অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইউসিবির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান।

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক মো. তানভীর খান অপর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ওবায়দুর রহমানকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য নতুন এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে সকলের জন্য উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্য ডেইলি স্টার দেখতে পেয়েছে যে দেশটিতে সাইফুজ্জামান অন্তত ২৬০টি সম্পত্তি কিনেছেন, যার মূল্য প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা এক হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগের এই তিনবারের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে ইউসিবিকে ব্যবহার করতেন।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দেখেছে, সাইফুজ্জামান ও রুখমিলা যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাইতেও বিপুল সম্পদ কিনেছেন।

সাইফুজ্জামান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আত্মীয়।

আরও দুই ব্যাংক এস আলম মুক্ত

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে এস আলম গ্রুপের আধিপত্য থেকে বের করে আনা হয়েছে। গতকাল এই দুই ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করে এস আলম গ্রুপের কবল থেকে মুক্ত হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

6h ago