ঢাকা মেডিকেলসহ দেশের সব হাসপাতালে পুরোদমে সেবা চালু

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধি এবং ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢামেক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। স্টার ফাইল ফটো

দুই দিন সীমিত পরিসরে চলার পর আজ বুধবার সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালে পুরোদমে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধি এবং ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল আহাদ বলেন, 'পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালে আজ সকাল থেকে পুরোদমে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে তাদের সংখ্যা খানিকটা কম থাকলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।'

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সারা দেশের হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন আব্দুল আহাদ।

ওই সংবাদ সম্মেলনে আহাদ বলেন, 'আমাদের দাবির পক্ষে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা দেশের সব হাসপাতালে পুরোদমে চিকিৎসাসেবা চালুর ঘোষণা দিচ্ছি।'

ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে কর্মরত দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় চার দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেছিলেন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, নার্স, ইন্টার্ন ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ধর্মঘটের ডাক দেন। তবে অধিকাংশ বেসরকারি ও কিছু সরকারি হাসপাতাল এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে ধর্মঘট ডাকার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সীমিত পরিসরে কাজে ফেরেন চিকিৎসকরা। সোম ও মঙ্গলবারও একইভাবে কাজ চলে।

এ জন্য সোমবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that a 33-year courtship has soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

2h ago