গাজী টায়ারসে লুটপাট, আগুন দেওয়া চলছেই

আগুনে পুড়ছে গাজী টায়ারস কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গাজী টায়ারস কারখানায় লুটপাটের পর আবারও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আজ শুক্রবার বিকেলে এই আগুন দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জানান, কিছু লোক আবার কারখানায় ঢুকে লুটপাটের পর কারখানার বর্জ্য অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কারখানার পূর্ব অংশে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

কারখানার কর্মকর্তারা জানান, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কারখানাটিতে ব্যাপক লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা। ২৫ আগস্ট বিকেলে তারা আবার কারখানার ছয়তলা ভবনে আগুন দেয়। পাঁচ দিন পর সে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। ওই ঘটনায় বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ভবনটিকে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় সেখান থেকে কোনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

তবে নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, গত ১ সেপ্টেম্বর ভবনে ঢুকে তারা কিছু দেহাবশেষ খুঁজে পান। সংগৃহীত দেহাবশেষ পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: সংগৃহীত

আজ সন্ধ্যায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার একজন নিরাপত্তা প্রহরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই কারখানায় এখন আর কোনো নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও লোকজন কারখানায় ঢুকে প্রতিদিন লুটপাট চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে কারখানায় লুটপাটের সময় কিছু লোক আমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে আমি তাদের প্রতিহত করি। আজ নিজের নিরাপত্তার জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। আমি আর তাদের কাজ করতে পারব না।'

তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, '২৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে সেখানে শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর সুপার মো. আসাদুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারখানাটি কমপক্ষে ৫০ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত, যার চারদিক থেকে খোলা। সিকিউরিটির দিক থেকে কারখানাটি এখন খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। পুলিশের বর্তমান অবস্থা সবাই জানে, তবে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago