গতকাল আ. লীগ-বিএনপির লোক আমাকে মারধর করেছে: হিরো আলম

গতকাল বগুড়ায় আদালত প্রাঙ্গণে হিরো আলমের ওপর হামলা করে সংঘবদ্ধ একটি দল। ছবি: সংগৃহীত

নিজের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন জড়িত বলে দাবি করেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

আজ সোমবার বিকেলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই দাবি করেন।

এর আগে গতকাল বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করানোর পর মারধর করা হয়েছে। তখন আলম অভিযোগ করেন, বিএনপির লোকজন তাকে মারধর করেছে।

পরে সংবাদ সম্মেলন করে হিরো আলমকে যারা মেরেছে তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

আজ হিরো আলম বলেন, গতকাল আদালতে আমি গিয়েছিলাম মামলা করার জন্য। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার ওপর যে হামলা করা হয় এবং বগুড়ায় উপ-নির্বাচনে নির্বাচনী ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে আট থেকে ১০ জন আমার ওপর হামলা করে। তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এর আগে তারা শুধু বলে, "এই তুই তারেক রহমানকে গালিগালাজ করছিস কেন, তোর এত সাহস কোত্থেকে আসলো"। এই কথা বলেই তারা মারধর শুরু করে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের লোকজনই আমাকে মেরেছে। কারণ হলো দুইটা। আওয়ামী লীগের লোকজন মেরেছে কারণ আমি তাদের লোকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আর রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা মেরেছে। আমাকে মারার এই দুইটাই ছিল মূল কারণ।

হিরো আলম বলেন, কালকে অনেকেই বলেছেন সেখানে বিএনপির কোনো লোকজন ছিল না। আমি ফুটেজ দেখেছি। সেখানে কয়েকজনের পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। এর মধ্যে রনি, নাজমুল নামে দুইজনের পরিচয় পেয়েছি। এই দুইজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন তারা বহিষ্কৃত। এ ছাড়া নুরুন্নবী নামের একজন আমাকে মারধর করেছে, যে আওয়ামী লীগের।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমার ওপর হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমাকে মারধরের ফুটেজ তো সারা বাংলাদেশ দেখেছে। হামলাকারীদের যদি ধরা হয়, তখনই বেরিয়ে আসবে তারা কারা। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ভাইসহ তারা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো আমি শুনেছি। তাদেরকে একটা কথা বলতে চাই, আপনাদের আমি শ্রদ্ধা করি, বিএনপিকে ভালোবাসি। গতকাল আমার মামলাটা ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। কিন্তু আপনাদের লোকজন যে বলছে, আমি তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছি, এই ফুটেজটা আপনারা বের করবেন। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি। আমার যদি ভুল হয়ে থাকে, আমি ক্ষমা চাইবে।

'আমার ওপর আওয়ামী লীগও ক্ষ্যাপা, বিএনপিও ক্ষ্যাপা। কারণ আমি তাদেরকে ছাড় দিয়ে কথা বলিনি। এটা আমার অপরাধ', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

14h ago