শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জমার নির্দেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে হওয়া প্রথম হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানি আবু সায়েদ নিহতের ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোক্তারুজ্জামান আজ রোববার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকি আল ফারাবী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিবির সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এস এম আমির হামজা শাতিল ১৩ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট সেদিন শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (এফআইআর) মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এবং কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।'
তিনি জানান, বাদী ভুক্তভোগীর আত্মীয় নন। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেছেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে আসামিদের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে সায়েদ নিহত হন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান পুলিশকে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
নিহত আবু সাঈদের দরিদ্র পরিবারের বাকি সদস্যরা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বসবাস করেন। তাদের মামলা করার সক্ষমতা নেই বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৭০টি মামলা চলমান আছে। এর মধ্যে ১৫৮টি হত্যা, ৭টি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা, তিনটি অপহরণ, ছয়টি হত্যাচেষ্টা ও একটি মামলা করা হয়েছে বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগে।
Comments