রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

৬ মাসে কোনো ভুল সংবাদ করেনি ডেইলি স্টার

ছবি: রিউমার স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

চলতি ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে দ্য ডেইলি স্টার পোর্টালে কোনো ধরনের ভুল সংবাদ পায়নি ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রকাশিত ফ্যাক্টচেকগুলোয় গণমাধ্যমের ভুলগুলো বিশ্লেষণ এবং পূর্বের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করে এই তথ্য পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। তারা বলছে, এই ছয় মাসে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

আজ সোমবার এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

প্ল্যাটফর্মটি দেশের ১৬৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো যাচাই করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোতে সর্বোচ্চ ২০টি থেকে সর্বনিম্ন একটি ভুল তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন খুঁজে পেয়েছে তারা। সব মিলিয়ে ১৬৪টি সংবাদমাধ্যমে থাকা ৬৮১টি প্রতিবেদন যাচাই করে ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ তারা পেয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশের তথ্য বলছে, ভুল তথ্য সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে 'কালবেলা'র প্রকাশিত সংবাদে। ভুল তথ্যের তালিকায় দ্বিতীয়তে জুম বাংলা, তৃতীয়তে সময় টিভি ও আরটিভি, চতুর্থতে যুগান্তর, ডিবিসি নিউজ, চ্যানেল২৪, ডেইলি বাংলাদেশ ও ঢাকা পোস্ট এবং পঞ্চমে আছে যায়যায়দিন, জনকণ্ঠ ও বিডি২৪রিপোর্ট।

ভুল সংবাদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, সবচেয়ে বেশি ১৪টি ভুল সংবাদ প্রচারিত হয়েছে জাতীয় বিষয়ে, শতকরা হিসাবে যা ১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩টি আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভুল সংবাদ প্রচার হতে দেখা গেছে। খেলাধুলা ও ধর্মীয় বিষয়ে ভুল সংবাদ প্রচারের সংখ্যা ছিল ১১টি, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে নয়টি, রাজনীতি বিষয়ে সাতটি, বিনোদন বিষয়ে ছয়টি, শিক্ষা বিষয়ে তিনটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দুইটি ভুল সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও প্রতারণা বিষয়ে একটি করে ভুল সংবাদ প্রচার হতে দেখা গেছে।

রিউমর স্ক্যানারের কোনো ধরনের ভুল সংবাদ প্রকাশ না করার তালিকায় দ্য ডেইলি স্টার ছাড়াও আছে ডয়চে ভেলে বাংলা, ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা, বাংলা ট্রিবিউন, নিউ এজ, বৈশাখী টিভি, জিটিভি, টি স্পোর্টসসহ মোট ৫৮টি পোর্টাল।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

3h ago