চেন্নাই টেস্ট

দেড়শোর আগে গুটিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ

Najmul Hossain Shanto
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চা-বিরতির আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছিলো বাংলাদেশ। শেষ দুই ব্যাটারকে নিয়ে আরও ৩৭ রান যোগ করতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে তাতে ফলোঅন এড়ানো যায়নি। যদিও বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই আবার ব্যাট করতে নেমেছে ভারত।

চেন্নাইতে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগে নেমে পুরো দুই দেশনও টিকতে পারেনি বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৭.১ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তরা অলআউট হয়েছেন ১৪৯ রানে। ২২৭ রানের বিশাল লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। 

বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে ৫০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার জাসপ্রিট বুমরাহ। দুই উইকেট করে নিয়েছেন আকাশ দীপ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

ভারতকে সকালের প্রথম ঘণ্টার কিছু পরে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের ৩৩৯ রানের সঙ্গে আর ৩৭ রান যোগ করেই থেমেছিল ভারত।  তবে ব্যাট করতে নেমে নিজেরা কোন দিশা পাননি। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলেন বুমরাহ। আকাশ দীপের জোড়া আঘাতে ২২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। 

৩ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে লাঞ্চ থেকে ফিরে শান্ত-মুশফিক এগুতে পারেননি বেশি। অনেকদিন ধরে ছন্দহীন বাংলাদেশ অধিনায়ক ২০ রান করে থেমে যান। মোহাম্মদ সিরাজের বেরিয়ে যাওয়া বলে স্লিপে বিরাট কোহলির হাতে জমা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার। 

অভিজ্ঞ মুশফিক কাবু বুমরাহর বলে। ৮ রান করা ডানহাতি ব্যাটার খোঁচা মেরে স্লিপে দেন ক্যাচ। ৪০ রানে ৫ উইকেট পড়ে কেঁপে উঠে সফরকারীদের ইনিংস। 

এরপর প্রতিরোধ গড়েন সাকিব-লিটন। দুজনে খেলছিলেন সাবলীল। জুতসই গতিতে রানও আনছিলেন তারা। জুটিতে ৫০ পেরুনোর পর ভুল করে বসেন লিটন। উইকেটের খোঁজে থাকা ভারত দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন চালাতে থাকে। 

রবীন্দ্র জাদেজার বাঁহাতি স্পিনে লিটন খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারছিলেন না। তাকে সুইপের চেষ্টায় যান তিনি। তবে প্রয়োগ হয় নাজুক। টপ এজড হয়ে ক্যাচ যায় স্কয়ার লেগে। ৪২ বলে ২২ করে ফেরেন ছন্দে থাকা বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটার। 

জাদেজার পরের ওভারে ভুল করে বসেন সাকিবও। তিনিও যান সুইপ করতে, রানের খোঁজে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন। বল তার ব্যাট ও বুটে লেগে জমা পড়ে রিশভ পান্তের গ্লাভসে। ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেটা থেকে আর উদ্ধার হয়নি। 

চা-বিরতির আগে ১১২ রানে পড়ে ৮ উইকেট। চা-বিরতির পর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ১৮ ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে ১৯ রান যোগ করেন মিরাজ। তিনি ২৭ রানে অপরাজিত থেকে গেলেও বাকিরা টিকতে পারেননি। 
 

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

11h ago