শ্রীলঙ্কার নির্বাচন: দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থীকে বিবেচনায় নিয়ে চলছে নতুন গণনা

গণনার জন্য ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ছবি: রয়টার্স
গণনার জন্য ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার চলমান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের প্রার্থীকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে ভোট গণনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আর এল এ এম রত্নায়েকে।

নির্বাচনী আইন অনুসারে, কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম ডেইলি মিরর।

রত্নায়েকে আরও জানান, দুই শীর্ষ প্রতিযোগী এনপিপি জোটের অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে ও বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা ছাড়া বাকিরা প্রার্থীরা নির্বাচনী লড়াই থেকে বাদ পড়েছেন।

৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন বামপন্থি নেতা অনুরা। ছবি: রয়টার্স
৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন বামপন্থি নেতা অনুরা। ছবি: রয়টার্স

বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, 'ওই দুই প্রার্থীকে দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থী হিসেবে যারা ভোট দিয়েছিলেন সেগুলো এখন গোনা হবে।'

শ্রীলঙ্কার সরকারি পোর্টাল নিউজ ডট এলকে জানায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে মোট ৩৯ প্রার্থীর নাম আছে। তাদের নামের পাশে এক, দুই ও তিন লিখে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করেন।'

তবে চাইলে একজন প্রার্থীকেও বেছে নিতে পারেন ভোটাররা। সে ক্ষেত্রে ১, ২ ও ৩ এর বদলে এক্স চিহ্ন একে দিতে হবে সেই প্রার্থীর নামের পাশে। 

বিশ্লেষকদের মতে, এভাবে ভোট গোনার পরও জয়ী হবেন অনুড়া দিশানায়েকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কার্যত অজনপ্রিয় আইএমএফ ঋণের বিষয়ে 'গণভোটে' পরিণত হয়েছে।

গত শনিবারের ভোটের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৫৫ বছর বয়সী অনুড়া দিশানায়েকে এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রথম বামপন্থি রাষ্ট্রপ্রধান হবেন।

এক কোটি ৭১ লাখ ভোটারের দেশটিতে প্রায় ৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ দিন শেষে চূড়ান্ত ফলাফল আশা করা হচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago