লেবাননে ডিভাইস বিস্ফোরণ-বিমান হামলার পর স্থল অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলের

লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ছবি: ডিডাব্লিউ
লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ছবি: ডিডাব্লিউ

গাজায় ১১ মাস হামলার পর সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে তীব্র হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ডিভাইসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলার পর বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটি। সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে নির্মূলের লক্ষ্যে এবার স্থল হামলা শুরুর আভাস দিয়েছে ইসরায়েল।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স, এপি ও এএফপি। 

গতকাল বুধবার ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি।

সেখানে তিনি বলেন, 'চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল লেবাননজুড়ে একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছে। হিজবুল্লাহকে প্রতিরোধ করতে আরো মিসাইল আক্রমণ চালানো হবে। তবে পাশাপাশি এই আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল লেবাননে ঢোকার রাস্তাও তৈরি করে রাখছে।'

সেনাপ্রধানের বক্তব্য, যে কোনো সময় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী স্থলপথে লেবাননে প্রবেশ করতে পারে। হিজবুল্লাহকে মোকাবিলা করাই তাদের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য।

হালেভির দাবি, বুধবার ইসরায়েলে একাধিক মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে একটি মিসাইল তেল আবিব লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়। জবাবে গোটা লেবাননজুড়ে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও। তবে হিজবুল্লাহকে নির্মূল করতে এরপর লেবাননে স্থল অভিযান চালনো প্রয়োজন।

হিজবুল্লাহ কাদের-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেল আবিবে হামলা চালিয়েছে। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ কাদের-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেল আবিবে হামলা চালিয়েছে। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযানের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

সোমবার থেকে লেবাননে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। যার জেরে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। বস্তুত, ইসারায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে আক্রমণ চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। তারই জেরে লেবাননে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল।

ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব

বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করেন। এরপর ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ নোয়েল ব্যারট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুই দেশ একটি তিন সপ্তাহের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব তৈরি করেছে। যা লেবানন ও ইসরায়েলের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুই দেশকে আলোচনায় বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যারট।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলকেও একই কথা জানিয়েছেন ব্যারট। জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কূটনৈতিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইসরায়েল। কিন্তু হিজবুল্লাহকে নির্মূল করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেবে ইসরায়েল।

 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago