ইসরায়েলের হাইফা ও তিবেরিয়াস শহরে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা

লেবানন ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মাঝেই ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোমকে' উপেক্ষা করে হাইফা ও তিবেরিয়াস শহরে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর রকেট। এই হামলায় আহত হয়েছেন ১০ জন।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

ইসরায়েলে হামাসের হামলার এক বছর পূর্ণ হলো আজ সোমবার (৭ অক্টোবর)। একই দিনে গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা হাইফার দক্ষিনে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি 'ফাদি ১' ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, দুইটি রকেট ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত হাইফা শহরে ও আরও পাঁচটি রকেট ৬৫ কিমি দূরে অবস্থিত তিবেরিয়াসে আঘাত হানে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রোববার হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে হাইফায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নজরদারির জন্য স্থাপন করা ভিডিও ক্যামেরাও হিজবুল্লাহর রকেট হাইফায় আঘাত করার মুহূর্তটি ধরা পড়েছে।

হাইফার আকাশে আয়রন ডোম হিজবুল্লাহর রকেট হামলা প্রতিহত করার মাঝে একটি মুক্ত বিহঙ্গ উড়ে যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
হাইফার আকাশে আয়রন ডোম হিজবুল্লাহর রকেট হামলা প্রতিহত করার মাঝে একটি মুক্ত বিহঙ্গ উড়ে যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

এই ভিডিওর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পেরেছে রয়টার্স। ভিডিও ফাইলে দেখানো জায়গার সঙ্গে স্যাটেলাইট ইমেজ মিলিয়ে তারা এটি যাচাই করেছে। সঙ্গে হামলার তারিখ ও সময়ও মিলিয়ে নিতে পেরেছে বার্তা সংস্থাটি।  

অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সংস্থার সদরদপ্তরে আঘাত হেনেছে। সেখানে গোপনে তথ্য সংগ্রহ, কমান্ড সেন্টার ও অন্যান্য অবকাঠামো ছিল বলে জানায় আইডিএফ।

গত কয়েক ঘণ্টায় বিমানবাহিনি হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারেও আঘাত হানার দাবি করেছে আইডিএফ।

পাশাপাশি, দক্ষিণ লেবানন ও বেকা এলাকাতেও অস্ত্রাগার, অবকাঠামো, নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র ও লঞ্চারের ওপর হামলা চালায় বিমানবাহিনী।

বৈরুতের অভ্যন্তরে জনাকীর্ণ জায়গাগুলোতে কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রাগার স্থাপন করে বেসামরিক মানুষদের জীবন বিপন্ন করার জন্য হিজবুল্লাহকে দায় দিয়েছে আইডিএফ।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

5h ago