নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকায়ো

পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার উদ্যোগ ও প্রচারণার স্বীকৃতি হিসেবে সংগঠনটিকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে বলে নোবেল কমিটি জানিয়েছে।
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও। ছবি: সংগৃহীত
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও। ছবি: সংগৃহীত

এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকায়ো।

আজ ১১ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ও  বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার উদ্যোগ ও প্রচারণার স্বীকৃতি হিসেবে সংগঠনটিকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে বলে নোবেল কমিটি জানিয়েছে।

নিহন হিদানকায়ো একটি পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী সংগঠন।

হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গেছেন, তাদেরকে নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে পরমাণু-অস্ত্র বিরোধী আন্দোলন শুরু করে এই সংগঠনটি। 

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে এই দুই পরমাণু অস্ত্র হামলায় যারা বেঁচে যান বা কোনো ভাবে প্রভাবিত হয়েছেন, তাদেরকে সামগ্রিকভাবে 'হিবাকুশা' বলা হয়। মূলত হিবাকুশাদের নিয়েই কাজ করে এই সংগঠনটি। 

সংগঠনটির অপর অর্জন হিসেবে নোবেল কমিটি উল্লেখ করে, তারা এই বিপর্যয়কে নিজের চোখে দেখে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সবার সামনে তুলে ধরেছেন, যা থেকে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে, এ ধরনের অস্ত্র আর কখনোই ব্যবহার করা উচিত হবে না। 

২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী।

পুরস্কারের ঘোষণা নেবেলপ্রাইজ ডট ওআরজি এবং ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবে নোবেল পুরস্কারের অফিসিয়াল ডিজিটাল চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছিল, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংস্থা।

১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১১১ ব্যক্তি ও ৩০ সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪১। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি ১৯১৭, ১৯৪৪ ১৯৬৩  সালে তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে।  জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থা নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

সমাজের 'নীচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন' করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

আগামী ১৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট ও  বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ছয় নম্বর ও সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।  এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর  নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শেষ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus congratulates Nihon Hidankyo on winning Nobel Peace Prize

Your advocacy and tireless efforts to ensure that the horrors of Hiroshima and Nagasaki are never forgotten resonate deeply in our quest for a safer world, said the CA

9m ago