শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া অপরাধ: রিজভী

জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে অপরাধ ও খুনিদের মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, 'গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের প্রতিবেশী দেশ পরিষ্কারভাবে বলেছে শেখ হাসিনা সেখানে আছেন। তাদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তারা বিগ ব্রাদার সুলভ আচরণ করেছে।'

আজ শুক্রবার জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শেখ হাসিনাকে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ও খুনি বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, 'যিনি শিশুদের রক্ত পান করতে পারেন, তার চেয়ে বড় সন্ত্রাসী আর কে হতে পারে? তাকে (হাসিনা) আশ্রয় দেওয়া মানে অপরাধ, অন্যায়কে সমর্থন করা এবং খুনিদের প্রশ্রয় দেওয়া।'

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহিঃসমর্পণ চুক্তি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'যেহেতু আদালত থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারে।'

তিনি বলেন, 'তার প্রত্যর্পণের জন্য কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে। তা না হলে বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ভারতসহ অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পাবে।'

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে রিজভী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবেদন দেখেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

তিনি বলেন, 'তিনি (শেখ হাসিনা) স্বল্প সময়ের নোটিশে এখানে এসেছিলেন। তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি এখানেই অবস্থান করছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

2h ago