প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘দানা’, কাল ভোরের মধ্যেই উপকূলে আঘাত

ঘূর্ণিঝড় দানা
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া 'দানা' এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির যে গতিপথ তাতে এর কেন্দ্র ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরি ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকাল ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় 'দানা' চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের একটানা গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। এটি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬৩-৮৭ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে সাইক্লোনিক স্টর্ম বা ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। গতিবেগ ৮৮-১১৭ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

NBR moves to speed up auction of abandoned goods

About 2 lakh tonnes of imported goods left abandoned at Chattogram port alone for years

23m ago