চট্টগ্রাম টেস্ট

জর্জির সেঞ্চুরি, হতাশার সেশনে সবই বিপক্ষে গেল বাংলাদেশের

Tony de Zorzi
চট্টগ্রামে সেঞ্চুরির পথে টনি ডি জর্জি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এর আগে টেস্টে কেবল দুটি ফিফটি ছিলো টনি ডি জর্জির, প্রথম সেঞ্চুরির খোঁজে থাকা ব্যাটার চট্টগ্রামেই পেয়ে গেলেন তা। বাঁহাতি এই ওপেনারের দারুণ সেঞ্চুরির সঙ্গে ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের ঝলকে দারুণ অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাজে ফিল্ডিং, রিভিউ নষ্টের হতাশায় পুড়ল স্বাগতিক দল।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় সেশনেও দাপট দক্ষিণ আফ্রিকার। এই সেশনে কোন উইকেট না হারিয়েই আরও ৯৬ রান যোগ করেছে তারা। ১ উইকেটে ২০৫ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে সফরকারী দল। ১৫২ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত আছেন জর্জি। ১৩১ বলে তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন স্টাবস। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে এসে গেছে ১৩৬ রান।

এই সেশনে উইকেটবিহীন কাটানোর পাশাপাশি দুটি রিভিউও হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

১ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে লাঞ্চ থেকে ফিরে থিতু হতে সময় নেন স্টাবস-ডি জর্জি। বেশ কিছুটা সময় বাউন্ডারি মারেননি তারা, তবে এক, দুই করে রান আসছিলো। স্টাবস ফিরেও যেতে পারতেন। ২৫ রানে তাইজুল ইসলামের টার্নে পরাস্ত হয়েছিলেন, এগিয়ে গিয়েছিলেন খানিকটা। তবে বল ধরে স্টাম্পিং করতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

তার লাগে লাঞ্চ থেকে ফিরে প্রথম ওভারেই অহেতুক প্রথম রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। নাহিদ রানার ওভার দ্য উইকেটে করা বল পায়ে লাগান জর্জি, আম্পায়া আউট দেননি।  রিভিউ নিলে দেখা যায় তা পিচ করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে।

সামলে নিয়ে দুই ব্যাটার ধীর লয়ে এগুতে থাকেন, তবে দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘন্টার পর আবার ডানা মেলে উড়তে থাকেন তারা। বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দ্রুত রান বের করতে থাকেন দুজন।

এই জুটি শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আরেকটি অহেতুক রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। এবার তাইজুলের বলে কাট করে পরাস্ত হন স্টাবস। বল জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া না পেয়ে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল আসলে ব্যাটে লাগেনি।

বাঁহাতি জর্জি সেশনের শেষ দিকে মাতান সেঞ্চুরিতে। তাইজুলকে ছক্কায় নব্বুই ছাড়ানোর অর মিরাজকে সুইপ করে চার মেরে পেয়ে যান নিজের প্রথম টেস্ট শতক।

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

10h ago