ইসরায়েল ও গাজা নিয়ে দুই রাজ্যে দু-ধরনের প্রচারণা কমলার

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়া দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্য (সুইং স্টেট)। একটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুসলিম ভোটার আছেন, আরেকটিতে ইহুদি ভোটার।

তবে আশ্চর্যের বিষয়, ইসরায়েল ও গাজা নিয়ে এই দুই রাজ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন বক্তব্য সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রচার করছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

মিশিগানে প্রায় তিন লাখ আরব বংশোদ্ভূত মার্কিনি বসবাস করেন, জনসংখ্যার অনুপাতে যা যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ। ২০২০ নির্বাচনে এই রাজ্যের ৬৯ শতাংশ মুসলিম ভোটার বাইডেনকে বেছে নিয়েছিলেন, আর ১৭ শতাংশ ট্রাম্পকে। এই ব্যবধানই শেষ পর্যন্ত বাইডেনকে জিততে সাহায্য করেছিল।

এবারও এই অঙ্গরাজ্যের মুসলিম ভোটাররা ব্যবধান গড়তে পারেন, এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ সপ্তাহে মিশিগানের ভোটারদের উদ্দেশ্য করে ডেমোক্র্যাটিক শিবিরের প্রচারিত নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে কমলাকে বলতে শোনা যায়, 'গাজায় গত নয় মাসে যা হয়েছে, তা মর্মান্তিক। (ফিলিস্তিনিদের) দুর্দশায় আমরা ভাবলেশহীন থাকতে পারি না। কথা দিচ্ছি (এই ইস্যুতে) আমি নীরব থাকব না।'

এদিকে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেনসিলভেনিয়ায় ইহুদি ভোটারের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। ধারণা করা হচ্ছে, এই রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই জনসংখ্যা।

পেনসিলভেনিয়ায় প্রকাশিত কমলা হ্যারিসের বিজ্ঞাপনে তার জাতীয় কনভেনশনের বক্তৃতার একটি অংশ তুলে ধরা হয়। যেখানে তিনি বলছেন, 'একটি বিষয় পরিষ্কার করি। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার নিয়ে আমি আজীবন সরব থাকব। আত্মরক্ষার জন্য ইসরায়েলের যেমন সক্ষমতা দরকার, সেটিও নিশ্চিত করে যাব। ৭ অক্টোবর হামাস নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি যা করেছে, ইসরায়েলের জনগণকে যেন সেরকম ভয়াবহতা আর দেখতে না হয়।'

সিএনএন জানায়, জাতীয় কনভেনশনের বক্তৃতায় এরপর কমলা বলেছিলেন, 'গাজায় গত ১০ মাসে যা হয়েছে, তা মর্মান্তিক। সেখানে যুদ্ধ থামাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আমি যা যা সম্ভব করছি।' নির্বাচনী বিজ্ঞাপনটিতে এই কথাগুলো রাখা হয়নি।
 

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago