দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী | ছবি: সংগৃহীত

দেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করছে। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে, নির্বাচিত সংসদ-সরকার গঠনের অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, যত ধরনের সংস্কারের আলাপ হচ্ছে, সেগুলো রাজনীতিবিদরাই পূরণ করবে। আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি।

চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভা, পেশাজীবী সমাবেশ ও নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

আমীর খসরু বলেন, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক খেলাধুলা চলছে বাংলাদেশে। অনেকে আমাকে বলেন, আবার কী শুরু হয়েছে দেশে? আমি বলেছি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। খেলাধুলা যারা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না। এই বিএনপি সেই বিএনপি নেই। এই বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে, এর শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। এই বিএনপিকে টলানোর সাধ্য কারও নেই। বিএনপির কয়েকটি সিদ্ধান্ত তো আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপিকে জোর করে ক্ষমতার বাইরে রাখার তাদের যে ভাবনা ছিল, ওই ওয়ান-ইলেভেনের বিরাজনীতিকরণ; আবার নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, ক্ষমতার স্বাদ তো কেউ কেউ পেয়েছেন, মনে রাখছেন এ ক্ষমতা ধরে রাখলে মন্দ কী! কিন্তু এ স্বাদ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাওয়ার জন্য ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে। বিএনপিকে ভাঙার সব ধরনের চেষ্টা হয়েছে। কিছু বাকি নেই, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা সব হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার চেষ্টার মধ্যেও দেশনেত্রী টলেননি, তারেক রহমান টলেননি, বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ টলেনি। সবার অবস্থান শক্ত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, একেকবার বাংলাদেশে স্বাধীনতা আসে, আবার সেটা হরণ হয়ে যায় স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের মাধ্যমে। প্রতিবারই সেটা মুক্তিলাভ করেছে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে এবং এবার দেশনায়ক তারেক রহমানের মাধ্যমে। প্রতিটি মুক্তি এসেছে বিএনপির নেতাদের মাধ্যমে। এ জন্য ৭ নভেম্বর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করছে। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে, নির্বাচিত সংসদ-সরকার গঠনের অপেক্ষা করছে, যে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার জনগণের কাছে জবাব দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। অন্য কোনো সরকার দায়বদ্ধ থাকবে না। কারণ, তাদের তো জনগণের কাছে যেতে হবে না। বিএনপিকে যেতে হবে, যারা রাজনীতি করে তাদের যেতে হবে। সুতরাং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে, সরকার নির্বাচিত করতে হবে, যোগ করেন তিনি।

খসরু বলেন, আর যত ধরনের সংস্কারের কথা আমরা আলাপ করছি, সেটা রাজনীতিবিদরাই পূরণ করবে। আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি। সংস্কারের কথা বলছেন? দেশনেত্রী ছয় বছর আগে ভিশন টোয়েন্টি-থার্টিতে সংস্কারের কথা বলেননি? তখন তো কারও মুখে সংস্কারের কথা শুনিনি।

Comments

The Daily Star  | English

New Tk 100 banknote to be released next week

The new note will be similar in size to existing one

25m ago