আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ-সমাবেশ করে।

সমাবেশে ছাত্র নেতৃবৃন্দ ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।

রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সিরাজুল ইসলাম রুবেল/স্টার

তারা বলেন, 'বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধসহ সব বাংলাদেশির নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ সরকার, ভারত নয়।'

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান তারা।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'ভারত যদি বাংলাদেশকে ষড়যন্ত্র করতে চায়, তাহলে "সেভেন সিস্টার" নিয়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে।'

রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এসে যোগ দেয়। সমাবেশে ওই হলের শিক্ষার্থী জয় পাল বলেন, 'ধর্ম, বর্ণ, জাত, গোত্র ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই একত্রিত থাকব। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে।'

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে মিছিল করে। রাত পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষোভ শেষ হয়।

চট্টগ্রাম

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। 

সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশে তার আধিপত্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত তার আধিপত্যবাদের শেকড় অনেক গভীরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ভারতীয় আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলেছে। আমরা অতীতে সীমান্তে ফেলানী হত্যা, স্বর্ণা দাসকে হত্যা করার ঘটনা দেখেছি। ভারতবিরোধী কথা বলায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নৃশংসভাবে খুন করেছিল। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আইনজীবী আলিফকে খুন করেছে।'

'এসব ঘটনা আওয়ামী লীগ ও ভারতের যৌথ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। তারা আবার নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দেশবাসীর প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সবাই মিলে আমাদের মধ্যে যে সম্প্রীতি আছে, সেটা বজায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব,' বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English

NBR plans to roll back tax benefits for exporters

The prospect of reduced tax benefits has rattled exporters, already wrestling with shifting global trade dynamics, including fresh US tariffs

11h ago