রমনায় র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি: সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানীর রমনা কাকরাইল মোড় এলাকায় র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতিতে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের দাবি, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন—মো. সাজ্জাদ হোসেন (৩৫), মো. কবির হোসেন (৫০), মো. শরীফ (২৫), মো. মনির হোসেন (৪০) ও মো. হাবিবুর খন্দকার (৩৮)।

এ সময় তাদের একটি মাইক্রোবাস ও আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর ডেমরার মাতুয়াইল এলাকার ট্রাসমি কোম্পানি লিমিটেডের ডিএমডি মো. সাইফুল ইসলাম (৩৮) ডাকাতির অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ পরবর্তীতে রমনা মডেল থানা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পাঁচজনকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাইফুল গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরের পর তাঁতীবাজারের জুয়েলার্স রামের গদি থেকে একটি স্কুল ব্যাগে ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে বাড্ডা এলাকায় তার বাসায় ফিরছিলেন। বংশাল চৌরাস্তা থেকে তিনি প্রচেষ্টা বাসে ওঠেন। বিকেল আনুমানিক ৪টা ২৫ মিনিটে বাসটি কাকরাইল মোড়ে পৌঁছে।

ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়ালে হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন লোক ওই বাসে উঠে নিজেদের র‍্যাবের সদস্য পরিচয় দেন। তাদের মধ্যে একজন 'র‍্যাব' লেখা জ্যাকেট পরে ছিলেন এবং তার কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেট ছিল। তারা যাত্রীদের জানান, বাসে মামলার আসামি রয়েছে। তাদের একজন সাইফুলকে আসামি হিসেবে শনাক্ত করেন এবং অন্যরা তাকে টেনে হিঁচড়ে বাস থেকে নামিয়ে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তোলে, উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

সাইফুল আরও অভিযোগ করেছেন, মাইক্রোবাসে তুলেই ডাকাতরা তাকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের ভয় দেখান। এক পর্যায়ে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে সাইফুলের সঙ্গে থাকা স্কুল ব্যাগের ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা, তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকা, হাত ঘড়ি, কোমরের বেল্ট ছিনিয়ে নেয়। এরপর দুই হাত ও চোখ বেঁধে ডাকাতরা তাকে ডেমরা এলাকায় রাস্তায় ফেলে দেয়।

থানা সূত্র আরও জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল সকালে ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ এবং চালক মো. কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কবিরের দেওয়া তথ্য মতে দুপুরে বংশালের আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিএমপির দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজন জানিয়েছেন তারা সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ঢাকা ও আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তারা ডাকাতি করে আসছিল।

Comments

The Daily Star  | English
DSCC services collapse amid prolonged protest by Ishraque's supporters

DSCC services collapse amid prolonged protest by Ishraque's supporters

Mosquito control, waste management and Eid cattle market leasing at a standstill

1h ago