রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

‘একাত্তরে জামায়াত সঠিক রাস্তায় ছিল’ মন্তব্য করেননি ড. ইউনূস

রিউমর স্ক্যানার
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে দৈনিক ইত্তেফাকের ডিজাইন সম্বলিত ফটোকার্ডটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ।

আজ রোববার রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি, '১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়নি বরং দেশ পাকিস্তান থেকে ভারতের কবলে চলে গিয়েছিলো। যেকারণে সেই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধে আমি শরিক হইনি। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫ আগস্ট। আমরা ২ পাকিস্তান এক থাকলে ভারত কোনদিনও আমাদের সাথে পারবে না। জামাতে সাথে নিয়েই দেশ পুনর্গঠিত করছি কারণ ১৯৭১ সালে জামাতই সঠিক রাস্তায় ছিলো' শীর্ষক মন্তব্যটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দাবিতে দৈনিক ইত্তেফাকের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য দাবিতে দৈনিক ইত্তেফাক এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসও এমন কোনো মন্তব্য করেননি। বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ইত্তেফাকের ডিজাইন নকল করে ভুয়া মন্তব্য সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোকার্ডের আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে, ড. ইউনূস বলেছেন, '১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়নি বরং দেশ পাকিস্তান থেকে ভারতের কবলে চলে গিয়েছিলো। যেকারণে সেই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধে আমি শরিক হইনি।' ড. ইউনূসের মন্তব্য দাবিতে আরও প্রচার করা হচ্ছে যে, '১৯৭১ সালে জামাতই সঠিক রাস্তায় ছিলো।' তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে যে, ইত্তেফাক এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রচার করেনি। মূল ধারার কোনো সংবাদ মাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রচার করা হয়নি।

আগেও একই দাবিতে গুজব ছড়িয়ে পড়লে সেসময় এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh intensifies Covid-19 screening at Benapole amid surge in India

The move comes following an alert issued by the Directorate General of Health Services (DGHS) on June 6

1h ago