জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন দল কত টাকা পাবে?

প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি। এবারের আসরের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি। আগামী মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে মুখোমুখি হবে ঢাকা মেট্রো ও রংপুর বিভাগ।

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা না হওয়ায় অর্থের ছড়াছড়ি নেই এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে। তবে বেশ কয়েকটি পুরস্কার থাকছে। রোববার প্রাইজমানি জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল পাবে ২০ লাখ টাকা। রানার্সআপ দলের মিলবে ১০ লাখ টাকা। আসরের সেরা নির্বাচিত হওয়া খেলোয়াড় পাবেন ১ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।

আগের দিন প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে রংপুর। আকবর আলির দল ৪ উইকেটে হারায় মেট্রোকে। প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল মেট্রো। তারা জিতেছিল সাত ম্যাচের সবকটিতে। দুইয়ে থাকা রংপুর জয় পেয়েছিল পাঁচটিতে।

জয়যাত্রা থামলেও শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার আরেকটি সুযোগ ছিল মেট্রোর। সেটা কাজে লাগিয়েছে তারা। এদিন খুলনা বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৮ রানে জিতেছে নাঈম শেখের দল।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া একরকম নিশ্চিত মেট্রোর নাঈমের। তিনি নয় ম্যাচে ১৩৬.৮০ স্ট্রাইক রেটে ৩১৬ রান করে শীর্ষে আছেন। দুইয়ে থাকা জিশান আলমের (সাত ম্যাচে ১৫৮.৭৬ স্ট্রাইক রেটে ২৮১ রান) দল সিলেট বিভাগ ও তিনে থাকা নুরুল হাসান সোহানের (আট ম্যাচে ১২৬.০৭ স্ট্রাইক রেটে ২৬৬ রান) দল খুলনা বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতা থেকে।

সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির স্থান দখলের লড়াই অবশ্য জমজমাট। বাদ পড়া চট্টগ্রাম বিভাগের আহমেদ শরিফ আট ম্যাচে ৭.৭৭ ইকোনমিতে ১৭ উইকেট নিয়ে আছেন এক নম্বরে। তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন রংপুরের আলাউদ্দিন বাবু (আট ম্যাচে ৫.৭৪ ইকোনমিতে ১৬ উইকেট)। এরপর আছেন মেট্রোর রকিবুল হাসান (নয় ম্যাচে ৫.৯৭ ইকোনমিতে ১৪ উইকেট)।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াচ্ছে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) সামনে রেখে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago