ব্যাটার সাকিবকে বিবেচনায় না নেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

Shakib Al Hasan
ছবি: বিসিবি

বোলিং অ্যাকশন বৈধ না হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে কেবল ব্যাটার হিসেবে দলে থাকতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তবে দলের সমন্বয়ের কারণ দেখিয়ে ব্যাটার সাকিবকে বিবেচনা করেননি প্রধান নির্বাচক।

ওয়ানডে বাংলাদেশের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব। তাও তিনি বেশিরভাগ সময় টপ অর্ডারে খেলেননি। ২৭২ ম্যাচে ৩৭.২৯ গড় ও ৮২.৮৪ গড়ে ৭ হাজার ৫৭০ রান সাকিবের।  কমপক্ষে ৫০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে সাকিবের গড়ই এখনো অবধি বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা।

কাজেই কেবল ব্যাটার হিসেবেই স্কোয়াডে থাকার সব রকম যোগ্যতা সাকিবের আছে। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দল ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠলে সাকিবকে না রাখার ব্যাখ্যায় গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, 'সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেটা থেকে উত্তরণের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। ফলাফল নেগেটিভ হওয়ায় এখন শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবে। সিলেকশন প্রক্রিয়ায় ওর অবস্থান ছিল ব্যাটার হিসেবে। এই দলে টিম কম্বিনেশন সাজাতে গিয়ে শুধু ব্যাটার হিসেবে ১৫ জনের দলে জায়গা দিতে পারিনি।'

সাকিব ওয়ানডেতে সর্বশেষ খেলেছেন গত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আলোচিত সেই ম্যাচে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই ইনিংসেই মূলত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। লম্বা সময় ওয়ানডে না খেললেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে ব্যাট হাতে সাকিব ছিলেন সফল। ৬ ম্যাচে ৪৩.৬৬ গড় ও ৯৯.২৪ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ২৬২ রান।

শুধু ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ দলে খেলার যথেষ্ট রসদ সাকিবের আছে। তবে কি কেবল বোলিং অ্যাকশন নাকি অন্য কোন কারণও এতে আছে। সাকিবকে দলে রাখার বিবেচনায় করতে পারার ব্যাপারে বিসিবির কোন বার্তা ছিলো কিনা সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে লিপু বলেন,  'বোর্ড সভাপতি বলেছেন কেউ রিটায়ার না করলে বিবেচনায় থাকবে। বোলিং অ্যাকশনের পর আমরা আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আমাদের প্ল্যানিংয়ে সাকিব না থাকার কারণেই সেই ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের দলে থাকলে হয়ত বোর্ড থেকে আরও স্পষ্ট অবস্থান জানতে পারতাম।'

গত ভারত সফরের সময় অবসর ঘোষণা দিয়ে সাকিব জানান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়তে চান। তার আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। দেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রেক্ষিত বদলে যায়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সাকিবকে ফিরতে বাধা আসে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর থেকে তার বাংলাদেশ দলে খেলা হয়ে পড়ে অনিশ্চিত।

অ্যাকশন অবৈধ হওয়ার আগেও আফগানিস্তান্তের বিপক্ষে সিরিজে সাকিব ছিলেন না দলে।

প্রধান নির্বাচক অবশ্য সাকিবের ব্যাটিং ও ক্রিকেটীয় কারণেই থেকেই উত্তর এড়িয়ে গেছেন,  'পাবলিকলি, এত ওপেনলি একজন লিজেন্ডারি ক্রিকেটারকে কেন দলে রাখা গেল না এটা আলোচনা করা ভালো কথা না। এ মুহূর্তে দলে যারা আছেন তারা এগিয়ে আছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন, আস্থা সে কারণেই।' 

'একজন ২৫ বছরের তরুণ যতটা সতেজ থাকে ৩৫ ভা ৩৭ বছরের খেলোয়াড় ফিটনেসের জায়গায়… সবাই বলব না তবে অনেকের জন্য ধরে রাখা কঠিন হয়। বয়সের সাথে সাথে রিফ্লেক্স কমে, মুভমেন্ট স্লো হয়। কেউ ব্যাটিংয়ে কভার করে দেয়। যে দুটো নাম বললেন সেটাই না, বিভিন্ন নামের ক্ষেত্রেই বিবেচনায় আনতে হয়। শুধু ব্যাটার না, বোলারদের ক্ষেত্রেও।'

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

7h ago