এমন ম্যাচও কেউ এভাবে হারে!

৩ ওভারে দরকার ছিলো ২২ রান, হাতে ছিলো ৭ উইকেট। একদম সহজ জয়ের পথে ছিলো খুলনা টাইগার্স। সেই ম্যাচেই হঠাৎ রঙ বদলে ঘুরে গেল খেলা। ১৮ বলের মধ্যে আরও ৬ উইকেট হারিয়ে ওই ম্যাচ কিনা পরে খুলনা হারল ৮ রানে!

সোমবার সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্স হারল অদ্ভুতভাবে। রংপুরের ১৮৬ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান থেকে ১৭৮ রানে থেমে গেল তারা।

শেষ ৩ ওভারে সহজ সমীকরণ থেকে বদলাতে থাকে ছবি, শেখ মেহেদী হাসানের ১৮তম ওভারে এলো মাত্র ৪ রান, পড়ল আফিফ হোসেনের উইকেট।

আকিফ জাভেদের করা ১৯তম ওভারে ৬ রান তুলে খুলনা হারালো আরও ২ উইকেট। শেষ ৬ বলে জেতার জন্য তাই ১২ রানের প্রয়োজন দাঁড়ায় খুলনার। কিন্তু ওই ওভারে স্রেফ ২ রান তুলে তারা হারায় ৩ উইকেট।

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শেষ ওভারে পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজ ব্যাটে যেন লাগাতেই পারছিলেন না, যেটা লাগালেন তাতে দুই রান নিতে গিয়ে হলেন রান আউট। পরের বলে রান আউট হলেন নাসুম আহমেদ, পঞ্চম বলে আবু হায়দার রনি ধরা দিলেন বাউন্ডারি লাইনে।

খুশদিল শাহর ব্যাটে পাওয়া লড়াইয়ের পুঁজি নিয়েও স্বস্তিতে ছিলো না রংপুর রাইডার্স। নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনদের ব্যাটে সহজ জয়ের রাস্তাতেই ছিলো খুলনা। সেই ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে তারা।

এই জয়ে টানা সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে রংপুর। ৫ ম্যাচে ৩ হারে ধুঁকছে খুলনা।

১৮৭ রানের লক্ষ্যে নেমে জুতসই শুরুর আভাস দিয়ে নিভেছেন দারবিশ রাসুলি। ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনি বোল্ড হন আকিফ জাভেদের বলে।

দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম শেখের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন মেহেদী আসান মিরাজ। জুটির পথে দুজনেই পেয়েছেন একাধিক জীবন। অধিনায়ক মিরাজ ২৪ বলে ৩৯ করে শেষ পর্যন্ত আউট হন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে।

নাঈম টিকে রান বাড়াচ্ছিলেন, দলের সমীকরণ সহজ হচ্ছিলো তার ব্যাটে। তবে এই বাঁহাতি ফিফটি পেরিয়ে অসময়ে থামান দৌঁড়। শেখ মেহেদীর সোজা বলে বোলারের হাতেই তুলে দেন ক্যাচ। ৪১ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ফেরেন ৫৮ রান করে।  এরপর আফিফ দলকে রেখেছিলেন জেতার পথে, কিন্তু শেষ দিকে সমীকরণ আচমকা ধসে মেলাতে পারেনি তারা।

টস জিতে ব্যাটিং বেছে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা হারায় দুই উইকেট। তবে ওপেনার তৌফিক খান তুষার এক পাশে টিকেছিলেন, খুব বেশি আগ্রাসী হতে পারেননি এই ডানহাতি। ৩০ বলে ৩৬ করে তিনি যখন উট হন তখন পেরিয়ে গেছে দশ ওভার, স্কোর বোর্ডে কেবল ৭০ রান।

ওই পরিস্থিতিতে রানের চাকায় গতি আনেন দুই পাকিস্তানি ইফতেখার  ও খুশদিল। নাসুম আহমেদকে টানা চার ছক্কায় রান বাড়ান খুশদিল।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১১৫ রান। একদম শেষ ওভারে গিয়ে ভাঙে ওই জুটি। ইফতেখার ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান।  মাত্র ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৬ ছক্কায় ৭৩ করেন খুশদিল। তিনিই হন ম্যাচ সেরা।

Comments

The Daily Star  | English

Anatomy of BGB shootings in Rampura

It was 6:14pm on Friday, July 19, 2024. Two Border Guard Bangladesh (BGB) personnel were advancing into Banasree G Block in Dhaka.

1d ago