অবরোধ তুলে নিলেও অনশনে অনড় তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

অনশনরত শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল গেইটের বাইরে অবস্থান করছেন। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করাসহ সাত দফা দাবিতে অবরোধকৃত সড়ক ছেড়ে দিলেও গণ-অনশন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে গতরাত ৪টার দিকে কলেজের সামনের সড়ক থেকে সরে যান বলে জানিয়েছেন তারা।

এখন অনশনরত শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল গেইটের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী প্রবীর দাশ।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঘটনাস্থলে তার সঙ্গে কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের কথা হয়। 

তিনি জানান, বুধবার বিকেলে পাঁচ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন। গতকাল অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এরমধ্যে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার অনশন করছেন মোট ১০ শিক্ষার্থী।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

এই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান বলেন, 'তিতুমীর কলেজে বর্তমানে ৩৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থী আছেন। তারাই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করবেন। এখন আমরা গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করছি। মানুষকে ভোগান্তিতে রেখে সড়ক অবরোধ করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমাদের বাধ্য হয়ে তা করতে হয়েছে। এরপরও সরকার আমাদের কথা না শুনলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে "বারাসাত টু মহাখালী অবরোধের" মতো কঠিন কর্মসূচি আসতে পারে।'

গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ সাত দফা দাবিতে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী থেকে গুলশান-১ এ যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। নিরুপায় হয়ে তারা হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় অনেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by the Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

3h ago