ফারুক হত্যা মামলার রায়: সাবেক সংসদ সদস্য আমানুরসহ ৪ ভাই খালাস

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তবে এই মামলার প্রধান আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা এবং তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলা দায়েরের প্রায় এক যুগ পর আজ রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন কবীর হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। কারাদণ্ড ছাড়াও আদালত দুই সাজাপ্রাপ্তকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানার দণ্ড এবং তা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেন।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা ও তার ছোট তিন ভাই—টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, টাঙ্গাইল চেম্বারস অব কমার্সের সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমান কাঁকন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান।

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা এবং মোহাম্মদ সমির কারাগারে মারা যান।

মামলায় মোট ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

গত ২৬ জানুয়ারি মামলার বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ দেন।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students, teachers call off protest after assurances

All the activities of the university will resume from tomorrow

3h ago