ঋণ জালিয়াতি

কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৫ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাত, কেয়া গ্রুপ, আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক,
কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান। ছবি: সংগৃহীত

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

বাকি পাঁচজন হলেন- সাউথইস্ট ব্যাংকের তৎকালীর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোরশেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখাপ্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমিয় কুমার মল্লিক ও মো. আশরাফুল আলম।

আজ সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক আজিজুল হক আদালতে আবেদন করলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

আবেদনে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, আবদুল খালেকসহ অন্যরা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন বলে তিনি একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন। তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। তাই তাদের বিদেশে যাওয়া ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

একই সঙ্গে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) আদেশপত্র পাঠাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুটি মামলা করে দুদক।

২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবদুল খালেক, তার স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে দুদক।

এছাড়া ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেক, তার তিন সন্তানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সে সময় খালেককে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি জামিন পান।

Comments

The Daily Star  | English

Scuffles in Los Angeles as soldiers sent by Trump fan out

Unrest broke out for a third day, with protesters angry at action by immigration officials that has resulted in dozens of arrests of what authorities say are illegal migrants and gang members

55m ago