চাকরির প্রলোভনে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জেল কারারক্ষী পদে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পিরোজপুর
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জেল কারারক্ষী পদে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ২ জন হলেন- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মাহবুব হাওলাদার এবং বরগুনা সদর উপজেলার ছেলে মনির হোসেন।

আজ শনিবার পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই মাহবুবকে খুলনা থেকে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯ জুলাই মনিরকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ দুপুরে ভান্ডারিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, তার কার্যালয়ের বিশেষ শাখায় ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভান্ডারিয়া গ্রামের সিয়াম এবং মো. ইব্রাহীম হাওলাদারের ভেরিফিকেশন রোল (ভিআর) তদন্ত আসে। সাধারণত কারারক্ষী পদে চাকরি হলে এটা আসে।

'পরে আমরা ভিআর দুটি তদন্ত শেষে ২৩ জুলাই ডাকযোগে কারা অধিদপ্তরে পাঠায়। তবে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর কারা অধিদপ্তর জানায়, অধিদপ্তরে এ ধরণের কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি,' বলেন পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, 'পরে বিষয়টি তদন্ত করতে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের সদস্য মাহবুব হাওলাদার পরীক্ষা ছাড়াই কারারক্ষী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সিয়াম এবং ইব্রাহীমের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মাহবুব।'

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'গত বছরের ১২ ডিসেম্বর সিয়ামের পরিবারের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা এবং ইব্রাহীমের পরিবারের কাছ থেকে সাত লাখ নেয় প্রতারক চক্রটি। তাদের পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে চাকরিতে জয়েন করানোল প্রতিশ্রুতিও দেয় মাহবুব। চাকরিতে যোগদানের পর বাকি টাকা দিতে হবে বলে তাদের জানানো হয়।'

'নির্ধারিত সময় অতিক্রম হওয়ার পরও চাকরি যোগদান না হওয়ায় মাহবুবের প্রতারণার বিষয়টি নজরুলের কাছে ধরা পড়ে। এরপর সে বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় প্রতারণার অভিযোগে গত ২৫ জুলাই মাহবুবকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ খুলনায় অভিযান চালিয়ে গত ২৭ জুলাই মাহবুবকে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯ জুলাই সহযোগী মনিরকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে,' বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, 'এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ব্যাংক চেকবই এবং চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মাহবুবের কাছ থেকে আরও ১৭ জনের তালিকা পাওয়া গেছে যাদের কারারক্ষী পদে চাকরির কথা বলে প্রতারণার চেষ্টা করছিল সে।'

Comments