জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৫.২৫ শতাংশ করা হতে পারে

একাধিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে।

আগের সরকার মূল বাজেটে ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অর্থ, বাণিজ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ওপর আলোচনা হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৈঠকে তারা বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক ও সংশোধিত বাজেট তুলে করেছিলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চলতি অর্থবছরের শুরুতে বারবার বন্যার কারণে কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। উপরন্তু, বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর মুদ্রানীতি প্রবর্তন করেছে। নীতিহার বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো সামগ্রিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিয়েছে।'

বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে।

জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে এডিবি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছয় দশমিক ছয় শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ করেছে।

বিশ্বব্যাংকও চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক দশমিক সাত শতাংশ কমিয়ে চার শতাংশ করেছে। 'রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অনিশ্চয়তা' ও 'তথ্য না পাওয়া'র কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, শিল্পকারখানায় অস্থিরতা ও বন্যা অর্থনীতির ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে বলে আইএমএফ চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করেছে।

'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে' আইএমএফ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দুই দশমিক এক শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে সাড়ে চার শতাংশ করেছে। এটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

12h ago