৪ দফা দাবি আদায়ে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান

ম্যাটস শিক্ষার্থী, ম্যাটস, প্রেসক্লাব,
ম্যাটস শিক্ষার্থীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

চার দফা দাবিতে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্যপরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করছেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বলছেন, দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের দাবি আদায় না হলে দুপুর থেকে একযোগে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ, কমিউনিটি মেডিকেলে নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে শাহবাগ এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে বিকেলে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি করতে গেলে পথে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷ এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ১৮ শিক্ষার্থী আহত হন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এরপর গতকাল রাত নয়টার দিকে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখান থেকে রাতে শহীদ মিনারে অবস্থান ও দাবি আদায় না হলে আজ দুপুর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে আজ সোমবার ভোরে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলে যান।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরি, কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা, প্রস্তাবিত 'অ্যালাইড-হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড' বাতিল করে স্বতন্ত্র 'মেডিকেল অ্যাডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ' বোর্ড গঠন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।

আজ সকালে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্যপরিষদের একজন সমন্বয়ক আহমদ উল্লাহ মানসুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে দাবির বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরব না।
 

 

Comments

The Daily Star  | English

Macroeconomic challenges to persist in Jul-Dec: BB

BB highlights inflation, NPLs, and tariff shocks as key concerns

3h ago