নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে খালেদা জিয়াসহ অন্যদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

আজকের সমাপনী যুক্তিতর্কের সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

অন্য আইনজীবীরাও তাদের মক্কেলদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া।

এর আগে মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৩৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মীর ময়নুল হক কাশেম শরীফ।

এদের মধ্যে কামাল, ময়নুল ও কাশেম পলাতক রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১৯ মার্চ এই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ পাইয়ে দিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন এ মামলা করে।

মামলার অপর আসামি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago