স্বাগতিক পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করল নিউজিল্যান্ড

Pak-nZ
ছবি: আইসিসি

পাকিস্তানের মাঠের হালচাল সবচেয়ে ভালো বুঝে নিল নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ধাক্কা খেলেও উইকেটের ধরণ বুঝে গড়ল ইনিংস। উইল ইয়াং, টম ল্যাথাম বলে-রানের হিসেব ঠিক রেখে তুললেন সেঞ্চুরি। শেষ দিকে ঝড় তুলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি আনলেন গ্লেন ফিলিপস। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানরা খাবি খেলেন বিস্তর। উইল ও'রর্কি, মিচেল স্যান্টনারদের দাপটের মাঝে তাদের দেখালো ম্রিয়মাণ।

করাচিতে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ হলো একপেশে। তাতে স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৬০  রানে হারালো নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করে দুই সেঞ্চুরিতে ৩২০ রান করে কিউইরা। ওই রান তাড়ার কোন পরিস্থিতি পুরো ইনিংস জুড়ে কখনই তৈরি করতে না পারা পাকিস্তান থামে  ২৬০ রানে।

ব্ল্যাকক্যাপসদের হয়ে ১০৪ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ল্যাথাম। রাচিন রবীন্দ্রের চোটে সুযোগ পাওয়া ইয়ং ১১৩ বলে করেন ১০৭। ৩৯ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে স্লগ ওভারের নায়ক ফিলিপস।

পাকিস্তানের হয়ে আগ্রাসী ফিফটি করেছেন খুশদিল শাহ। তবে তার ৪৯ বলে ৬৯ রান আসে পাকিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর। এর বাইরে কার্যকর ব্যাটিং করেন সালমান আঘা ২৮ বলে ৪২)। দলের সেরা ব্যাটার বাবর আজম ৬৪ করলেও খেলেন ৯০ বল। তার ইনিংসটা দলটির হারের অন্যতম কারণ বললে অত্যুক্তি হয় না।

৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের সেরা পেসার ও'রর্কি। ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন অধিনায়ক স্যান্টনারও।

নিয়মের জালে আটকে ফখর জামান ওপেনিংয়ে নামতে না পারায় শুরুতেই হিসেব বোধহয় এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তানের। ফখরের বদলে বাবর আজমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাউদ শাকিল, তিনি থামেন চতুর্থ ওভারে। তখন দলের স্কোর কেবল ৮ রান।

এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর বাবর মিলে প্রতিরোধের চেষ্টায় বাড়াতে থাকেন ডট বলের চাপ। থিতু হওয়ার আগে ১৪ বল খুইয়ে ৩ রান করে উইল ও'রর্কির বলে বিদায় নেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

ওপেনার ফখর পেনাল্টি টাইম পেরিয়ে নামার সুযোগ পান চারে। তবে নেমেই ধুঁকতে থাকেন তিনি। ফিল্ডিংয়ে পাওয়া চোটের অস্বস্তি টের পাওয়া যাচ্ছিলো স্পষ্ট। অন্য দিকে বাবর ঢুকে গেছেন খোলসে। ৩২১ রান তাড়ার কথা যেন মাথাতেই নেই তার। প্রথম ১৪ ওভারের মধ্যেই ৬০টার বেশি ডট বল খেলে ফেলে পাকিস্তান।

আড়ষ্ট এই রানের ধারায় গতি আনেন সালমান আলি আঘা। টি-টোয়েন্টি মেজাজে রান বাড়িয়ে পুষিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের কপাল মন্দ তার বিদায় হয় অসময়ে। ন্যাথান স্মিথের বলে পুল করতে গিয়ে ২৮ বলে ৪২ করে থামেন তিনি।

বাবর ফিফটি তুলে এগুতে থাকলেও দলের চাহিদার বিপরীতে তা ছিলো নগণ্য। মিচেল স্যান্টনারের বলে ৯০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস থামান ৩৪তম ওভারে। ৩২১ রান তাড়ায় তার ৭১ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। রান পেলেও মন্থর খেলায় তিনিই দলকে বড় বিপদে ফেলে যান।

অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ এরপর টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ফিফটি পেয়েছেন বটে, তবে ততক্ষণে রান তাড়ার হিসেব অনেকটাই নাগালের বাইরে। পরে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে।

দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস এগুয় পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। তাদের ইনিংসের রিপোর্ট পড়ুন এখানে

Comments

The Daily Star  | English

The elephant in the room no one is talking about

Reform of political parties is of urgent need

11h ago